ধনতেরাস উৎসবের দিন থেকে শুরু হয় দীপাবলি উৎসব। ধনতেরাসের দিন পুজো করা হয় মা লক্ষ্মী ও কুবের দেবের। এছাড়া এই দিনে ধন্বন্তরীর পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পঞ্জিকা অনুসারে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালন করা হয় ধনতেরাস উৎসব। এই দিনে সামর্থ্য অনুসারে কিছু জিনিস কিনে থাকে মানুষ। ২০২৪ সালে ধনতেরাস উৎসব পালন করা হবে ২৯ অক্টোবর এবং ৩১ অক্টোবর পালন করা হবে দীপাবলি উৎসব।

ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের সময় উদ্ভব হয়েছিল ধন্বন্তরীর। কিংবদন্তি অনুসারে, ধন্বন্তরী সেই ব্যক্তি ছিলেন যিনি সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃত পাত্রটি নিয়ে এসেছিলেন। তিনি আয়ুর্বেদের অগ্রদূত এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেবতাদের চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। তাই ধন্বন্তরীকে স্বাস্থ্য প্রদানের দেবতা মনে করা হয়। মান্যতা রয়েছে যে ধন্বন্তরীর পুজো করলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং অক্ষমতা প্রাপ্ত হয়।

কিংবদন্তি অনুসারে, অমৃত পাত্রের জন্য দেবতা এবং অসুররা সমুদ্র মন্থন করেছিল। সমুদ্র মন্থন থেকে একের পর এক ১৪টি রত্ন বেরিয়েছিল, যার মধ্যে শেষটি ছিল অমৃত পাত্র যার সঙ্গে ধন্বন্তরী আবির্ভূত হয়েছিলেন। যেদিন ধন্বন্তরী অমৃত পাত্র নিয়ে আবির্ভূত হন সেই দিনটি ছিল কার্তিক শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশীর দিন। তাই ধনতেরাসের দিনে পুজো করা হয় ধন্বন্তরীর। ধনতেরাসের দিনটি ধন্বন্তরী ত্রয়োদশী বা ধন্বন্তরী জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়।