বিজয়া দশমীতে মিষ্টিমুখের পাশাপাশি নিমকি তৈরি করা বাঙালির একটি পুরোনো প্রথা। তাই এই দিন অনেকেই বাড়িতেই নিমকি বানিয়ে নেন। কিন্তু কীভাবে বানালে মুচমুচে ও সুস্বাদু নিমকি হবে? দেখে নিন এই সহজ রেসিপি।বিজয়া দশমীর মুচমুচে নিমকি রেসিপি
উপকরণ
ময়দা - ২ কাপ, কালো জিরে- ১ চা চামচ, নুন স্বাদমতো, জোয়ান - ১/২ চা চামচ , তেল বা ঘি - ৪ টেবিল চামচ, ঠান্ডা জল পরিমাণমতো, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো
কীভাবে শুরু করবেন?
১. একটি বড় পাত্রে ২ কাপ ময়দা, ১/২ চা চামচ নুন, ১ চা চামচ কালো জিরে এবং ১/২ চা চামচ জোয়ান নিন। সব শুকনো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
২. এতে ৪ টেবিল চামচ তেল বা ঘি দিয়ে ময়দার সাথে ভালোভাবে মেশান। ময়দা এমনভাবে মেশাতে হবে যেন মুঠো করলে এটি দলা পাকিয়ে যায়।
৩. অল্প অল্প করে ঠান্ডা জল দিয়ে ডো মাখতে শুরু করুন। ডোটি একটু শক্ত হবে, যেন লুচির ডোর চেয়ে শক্ত থাকে। অতিরিক্ত জল দেবেন না। ডো মাখা হয়ে গেলে, একটি ভেজা কাপড়ের সাহায্যে সেটি ঢেকে ৩০ মিনিটের জন্য বিশ্রাম দিন।
৪. ডোটিকে আবার হালকা মেখে সমান মাপের কয়েকটি লেচি কেটে নিন। প্রতিটি লেচিকে সামান্য ময়দা বা তেল ব্যবহার করে পাতলা রুটির মতো গোল করে বেলে নিন। রুটিটি যেন খুব বেশি পাতলা না হয়। রুটিটিকে প্রথমে মাঝখান থেকে দু'ভাগে ভাঁজ করুন। এরপর ভাঁজ করা অর্ধচন্দ্রাকার অংশটিকে আবার মাঝখান থেকে ভাঁজ করুন। নিমকিটির মাঝখানে সামান্য তেল বা ঘি লাগিয়ে আবার ভাঁজ করে ত্রিভুজ আকার দিন।
৫. একটি কড়াইতে ডুবো তেলে ভাজার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল দিন এবং হালকা গরম করুন। নিমকি ভাজার জন্য তেল খুব বেশি গরম করা উচিত নয়। আগুনের আঁচ একেবারে কম করে রাখুন। একটি একটি করে নিমকি গরম তেলে ছাড়ুন। নিমকিগুলি দেওয়ার পর আঁচ একদম কম রেখে ভাজতে থাকুন। এতে নিমকিগুলি ভেতর পর্যন্ত ভালোভাবে সেদ্ধ হবে এবং মুচমুচে হবে।
৬. নিমকিগুলি যখন সোনালী রং ধারণ করবে এবং মুচমুচে হয়ে যাবে, তখন তেল থেকে তুলে একটি কিচেন পেপারের উপর রেখে অতিরিক্ত তেল ঝরিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এই মুচমুচে বিজয়া দশমীর নিমকি আপনি বায়ুরোধী পাত্রে প্রায় এক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।