বৈশাখী উৎসবের উৎপত্তি হয়েছে ভারতের পাঞ্জাবে। রবি শস্য সংগ্রহের শুরুতে পালন করা হয় এই উৎসব। এই উৎসবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়। বর্তমানে পাঞ্জাব, হরিয়ানা তথা ভারতের পাশাপাশি এই উৎসব আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয় গোটা বিশ্বে। তবে ২০২৪ সালের বৈশাখীর তারিখ নিয়ে রয়েছে সংশয়। পাঞ্জাব ও বাংলায় নববর্ষ হিসেবেও পালন করা হয় এই দিনটিকে।

ভারতকে বলা হয় বৈচিত্র্যের দেশ। এই দেশে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের বাস। এই দেশে প্রায় প্রতিদিনই পালন করা হয় কোনও না কোনও উৎসব, পুজো। আবার একই উৎসব এই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন নামে নিজস্ব বিশ্বাস এবং রীতিনীতি অনুযায়ী পালিত হয়। বৈশাখ মাসে আকাশে থাকে বিশাখা নক্ষত্র, এই কারণে এই মাসকে বৈশাখ বলা হয় এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিনটিতে পালিত হয় বৈশাখী। এই দিনে সূর্য দেবতা অবস্থান করেন মেষ রাশিতে। তাই এই উৎসবটি পরিচিত মেষ সংক্রান্তি নামেও। ২০২৪ সালে বৈশাখী উৎসব পালিত হবে ১৩ এপ্রিল, শনিবার।

বর্তমানে বৈশাখী উৎসব ভারতের পাশাপাশি পালন করে সারা বিশ্বের শিখ, পাঞ্জাবি ও হিন্দুরা। বৈশাখী উৎসবের দিন দেশের বিভিন্ন শহরে বিপুল সংখ্যক মানুষ মিছিল করে ভজন-কীর্তন করে। এই দিনে, গুরুদ্বারে ভোরবেলা অনুষ্ঠিত হয় স্তোত্র ও প্রার্থনা। এই উৎসবের দিন সবাই নতুন পোশাক পরে, গুরুদ্বারে প্রণাম করতে যায়। এটি ফসলের উৎসব হওয়ায় পাঞ্জাবের অনেক পরিবার সরিষার শাক এবং ভুট্টার রোটি তৈরি করে এই দিনে। খুব আনন্দের সঙ্গে সকলে একত্রিত হয়ে পাঞ্জাবের জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্য করে এদিন।