উত্তরাখণ্ডের চারটি ধামের মধ্যে অন্যতম হল বদ্রীনাথ ধাম (Badrinath Dham)। নর ও নারায়ণ পর্বতমালার কোলে অবস্থিত এই ধাম। বদ্রীনাথ ধাম হল শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের কেন্দ্র। সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে ২০২৪ সালের জন্য মন্দিরের দরজা খোলার তারিখ। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে ভগবান বদ্রী বিশালের দর্শনে বদ্রীনাথ ধামে আসেন হাজার হাজার ভক্ত। শাস্ত্র অনুযায়ী বদ্রীনাথ ধামকে পৃথিবীর বৈকুণ্ঠ ধামও বলা হয়।

শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয় বদ্রীনাথ ধামের দরজা খোলার তারিখ। প্রতি বছর বসন্ত পঞ্চমীর দিন এখানে তেহরির রাজদরবারের পুরোহিত রাজার জন্ম কুণ্ডলীতে গ্রহের অবস্থান গণনা করে দরজা খোলার তারিখ নির্ধারণ করেন। তেহরি রাজার পারিবারিক দেবতা বলে মনে করা হয় ভগবান বদ্রী বিশালকে। রাজতন্ত্রের সময় থেকেই রাজপ্রাসাদ থেকে ধামের ব্যবস্থা এবং মন্দির খোলা ও বন্ধের ঘোষণা করা হয়। সেই প্রথাই মেনে চলা হয় আজও।

দরজা খোলার কয়েক দিন আগে গাড়ু ঘড়া যাত্রার প্রক্রিয়া করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় নরেন্দ্র নগর প্রাসাদের রাণী বিবাহিত নারীদের সঙ্গে উপবাস করে তিলের তেল তৈরি করেন। যে কলসিতে এই তেল রাখা হয় তাকে গাড়ু বলে। গাড়ু কলসটি শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে রাখা হয় এবং ধামের দরজা খোলার সময় এই তেল দিয়ে বদ্রী বিশালের মূর্তির অভিষেক করা হয়।

২০২৪ সালে ১২ মে সকাল ৬ টা নাগাদ ব্রাহ্ম মুহুর্তে দরজা খুলে দেওয়া হবে বদ্রীনাথ ধামের। শীতকালে এই মন্দিরটি ৬ মাসের জন্য বন্ধ রাখা হয়। মান্যতা রয়েছে এই সময়কালে শ্রী হরি বিষ্ণু বিশ্রামের জন্য এই স্থানে থাকেন। কথিত আছে- "যে বদ্রী যায়, সে ওদ্রিতে আসে না" অর্থাৎ যেই ব্যক্তি বদ্রীনাথ দর্শন করে সেই ব্যক্তি জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যায়।