Durga Puja 2020: মহমারীর বিষন্নতায় এবারের পুজো বন্ধ, আসছে বছর জমিয়ে দুর্গোৎসবের আশ্বাস গায়ক অভিজিতের
অভিজিৎ ভট্টাচার্য (Photo Credits: Facebook)

মুম্বইয়ের দুর্গোৎসব মানে অবশ্যই সংগীত শিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের (Singer Abhijeet Bhattacharya) বাড়ির পুজো। লেখন্ডওয়ালার এই খ্যাতনামা দুর্গাপুজোকে ঘিরে মুম্বইয়ের বাঙালিরা চারটে দিন হই হুল্লোড়ে মাতে। অন্তত গত ২৫ বছর ধরে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে এই ছবির অন্যথা হয়নি। আর এবার তো আরও বড় মহাযজ্ঞ হওয়ার মতো বিষয়, লোখন্ডওয়ালার দুর্গোৎসব যে ২৫ বছরে পড়ল। তবে আমরা যতই ‘আসছে বছর আবার হবে’ বলে আওয়াজ তুলি না কেন, ভাগ্যদেবী কিন্তু অলক্ষ্যেই হাসেন। তাইতো মহামারী করোনাভাইরাসে পৃথিবীটা ছারখার হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন শুধু খারাপ খবর। প্রিয়জন হারানোর কান্না যে বাতাসকে ভারী করে তুলেছে। সেসব দেখেই ভট্টাচার্য বাড়িতে উমার আরধনা এবার আর হচ্ছে না।

ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করে সেখবর জানিয়েছেন স্বয়ং অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, লোখান্ডওয়ালার বাড়ির পুজোটা আমার প্রাণের পুজো। আজ ২৫ বছর ধরে তিল তিল করে এর সবটুকু সাজিয়ে তুলেছি আমরা সবাই মিলে। আর আমাদের এই পুজোটাকে মুম্বইয়ের বাঙালিরাও আপন করে নিয়েছেন। শারদীয়ার ক’টাদিন তাই তাঁরা সবাই মিলে ভরিয়ে রাখেন আমাদের মণ্ডপ চত্বর। জমে যায় পুজো। ভক্তিভরে অঞ্জলি, আরতির পরে ঢাকের তালে সবাই মিলে জমাটি ধুনুচি নাচ, পাত পেড়ে ভোগ খাওয়া, সিঁদুরখেলার মজা- কিচ্ছু বাদ দিই না আমি নিজেও। বলিউডের বন্ধুরা সবাই আসেন। নাচে-গানে-হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন। গায়ক বন্ধুরা দুর্দান্ত ফাংশন করেন। ভরপুর বাঙালিয়ানার উদযাপনে ফ্যাশন শো হ্য। নানা রকম স্টলে খাওয়াদাওয়া, কেনাকাটা চলে দেদার। তুমুল আড্ডা, হইচই আর ভিড়ে ঠাসা পুজোর আনন্দ-র কথা আর কীই বা বলব নতুন করে! হ্যাঁ, নতুন বলতে বরং এ বারের পুজো। কারণ চেনা কোনও কিছুই এ বছর হবে না। সম্ভবও নয়। করোনার এই সাঙ্ঘাতিক পরিস্থিতিতে অন্য বারের মতো করে উদযাপনের কথা ভাবতেই পারছি না। তাই এ বার মানুষের নিরাপত্তা আর সুস্থতার কথা ভেবে এ বছর লোখান্ডওয়ালার পুজোর চেনা উদযাপন বন্ধ রাখছি আমরা। আরও পড়ুন-Durga Puja 2020: শিয়রে করোনার কাঁটা, শোভাবাজার রাজবাড়ির ছোট তরফের পুজোয় এবার বাইরের লোকের প্রবেশ নিষেধ

তবে অভিজিৎবাবুরপুজোয় প্রতিবছর মুর্শিদাবাদ থেকে যেতেন ঢাকি, ডেকরেটর্সের শিল্পীরা। পুজো হবে না বলে যে তাঁদের খুশিতে টান পড়বে, তা ভাবতেই পারেন না তিনি। ২৫ বছরের পুরোনো রীতি মেনে তাই তাঁদের খুশি করতে কালবিলম্ব করেননি অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এ বছরটা আসলে বড্ড মনখারাপের। একটা রোগ যে গোটা পৃথিবীটাকে এই পরিস্থিতিতে এনে দাঁড় করাতে পারে, তা অকল্পনীয় ছিল। এমন বিষন্নতার সময়ে সব ভুলে হইচই করে পুজোয় মাতি কী করে! সব ঠিক থাকলে, সব বাধা পেরিয়ে সামনের বছর ঠিক সব আগের মতো হবে পুজোয়। হবেই। আসছে বছর জমিয়ে হবে! আবার হবে! তবে গত ২৪ বছরের পুজোর বিভিন্ন সুখময় মুহূর্তের কোলাজ তৈরি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দর্শণার্থীদের দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর বন্দোবস্ত করেছেন অভিজিৎবাবু।