সোমবার জম্মু থেকে পবিত্র অমরনাথ গুহার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ৬৪৬১ জন তীর্থযাত্রীর একটি দল। অমরনাথ যাত্রার প্রথম দুই দিন তথা ২৯ ও ৩০ জুন বাবা বরফানি দর্শন করেছেন ২৮ হাজারের বেশি তীর্থযাত্রী। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২ দিনে অমরনাথের গুহা মন্দিরে গিয়েছেন ২৮,৫৩৪ জন ভক্ত। এক আধিকারিকের কথা অনুযায়ী, সোমবার জম্মুর ভগবতী নগর যাত্রী নিবাস থেকে দুটি নিরাপত্তা কনভয়ে উপত্যকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে ৬৪৬১ যাত্রীর একটি ব্যাচ, এর মধ্যে ২৩২১ যাত্রী উত্তর কাশ্মীরের বালতাল বেস ক্যাম্প থেকে ১১৮টি গাড়ির একটি কনভয় রওনা হয় সকাল ৩:১৫ মিনিটে।
একই দিনে ৪১৪০ জন যাত্রী দক্ষিণ কাশ্মীরের নুনওয়ান (পাহালগাম) বেস ক্যাম্প থেকে ১৪৭টি গাড়ির আরেকটি নিরাপত্তা কনভয় রওনা হয় সকাল ০৪:১০ মিনিটে। ২০২৪ সালে ২৯ জুন শুরু হওয়া ৫২ দিনের দীর্ঘ অমরনাথ যাত্রা রক্ষা বন্ধনে শেষ হবে ১৯ আগস্ট। ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী পাহেলগাম-গুফা তীর্থযাত্রা রুট অথবা ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বালতাল-গুফা থেকে তীর্থযাত্রা শুরু করেন তীর্থযাত্রীরা। পাহলগাম রুট দিয়ে গুহা মন্দিরে পৌঁছাতে সময় লাগে ৪ দিন, যেখানে বালতাল রুট দিয়ে একই দিনে 'দর্শন' করার পর বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়া যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৮৮৮ মিটার উপরে অবস্থিত, গুহা মন্দিরে বরফের একটি কাঠামো রয়েছে যা চাঁদের পর্যায়গুলির সঙ্গে বৃদ্ধি এবং হ্রাস পায়।
বিশ্বাস করা হয় যে বাবা বরফানির এই বরফ কাঠামো ভগবান শিবের পৌরাণিক শক্তির প্রতীক। ২০২৪ সালে আনুমানিক ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়ক, উভয় যাত্রা রুট, বেস ক্যাম্প এবং গুহা মন্দিরে করা হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই তীর্থযাত্রা নির্বিঘ্ন এবং নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উভয় রুট, ট্রানজিট ক্যাম্প এবং গুহা মন্দিরে ১২৪টিরও বেশি ব্যবস্থা রয়েছে ল্যাঙ্গারের। এই বছরের যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের সেবা করছেন ৭ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক। যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ৩ জুলাই থেকে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। উভয় রুটে যাত্রীদের জন্য রয়েছে হেলিকপ্টার পরিষেবাও।