পূর্ণিমার দিনটি উৎসর্গ করা হয় দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণুকে। মান্যতা রয়েছে, এই দিনে লক্ষ্মী নারায়ণের পুজো করলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মাস বলে মনে করা হয় অগ্রহায়ণ মাসকে। এই মাসের পূর্ণিমাকে বাত্তিসি পূর্ণিমা এবং মোক্ষদায়িনী পূর্ণিমাও বলা হয়। অগ্রহায়ণ পূর্ণিমায় উপবাস করলে সকল ইচ্ছা পূরণ হয়। ২০২৪ সালে অগ্রহায়ণ পূর্ণিমা পালন করা হবে ১৫ ডিসেম্বর। এটি হবে ২০২৪ সালের শেষ পূর্ণিমা।
অগ্রহায়ণ পূর্ণিমার দিনে স্নান, দান ও তপস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হরিদ্বার, বেনারস, মথুরা এবং প্রয়াগরাজের মতো স্থানে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ পবিত্র নদীতে স্নান ও তপস্যা করতে আসে এই দিনে। ২০২৪ সালে অগ্রহায়ণ পূর্ণিমা শুরু হবে ১৪ ডিসেম্বর, বিকাল ০৪:৫৮ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৫ ডিসেম্বর দুপুর ০২:৩১ মিনিটে। স্নান দানের শুভ সময় থাকবে ১৫ ডিসেম্বর সকাল ০৫:১৭ মিনিট থেকে সকাল ০৬:১২ মিনিট পর্যন্ত। সত্যনারায়ণ পুজোর সময় থাকবে সকাল ০৮:২৪ মিনিট থেকে দুপুর ১২:১৬ মিনিট পর্যন্ত।
মান্যতা রয়েছে যে অগ্রহায়ণ পূর্ণিমার দিনে করা দান অন্যান্য পূর্ণিমার দিনের তুলনায় ৩২ গুণ বেশি ফলদায়ক। অগ্রহায়ণ পূর্ণিমার দিনে উপবাস করে ভগবান নারায়ণের পুজো করা হয়। পুজোর পর মন্ত্র জপ করার সময় ভগবানকে সুগন্ধ ও ফুল অর্পণ করা হয়। মান্যতা রয়েছে, অগ্রহায়ণ পূর্ণিমায় তুলসীকে লাল ওড়না ও কাঁচা দুধ নিবেদন করলে এবং সকাল-সন্ধ্যা ঘি-এর প্রদীপ জ্বালালে সকল ইচ্ছা পূর্ণ হয় এবং আর্থিক লাভ ও সাফল্যের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।