Durga Puja 2025: দুর্গা পুজোর (Durga Puja) ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টা পর দেবীর বোধন। বাঙালি মেতে উঠবে দুর্গা পুজোর আনন্দে। শনিবার পড়ছে মহাপঞ্চমী (Maha Panchami)। তবে ভিন্ন পঞ্জিকা মতে, শুক্রবার শুরু হচ্ছে মহাপঞ্চমী। তবে যে পঞ্জিকাই মানুন না কেন, দুর্গা পুজো চলে এসেছে। তাই বাঙালিও ঢাকের বাদ্যিতে মেতে উঠেছে।
মহাপঞ্চমী হল সেই দিন, যে দিনকে দুর্গা পুজো শুরুর আগেরদিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পুজোর সমস্ত গোছগাছ সব এই মহাপঞ্চমীতে সেরে ফেলতে হয়। মহাপঞ্চমীতেও দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। তবে মূর্তিতে নয়। সমস্ত কিছু গুছিয়ে রেখে, ষষ্ঠীতে বোধন হয় মা দুর্গার।
শুক্রবার কটা থেকে শুল্ক পক্ষ শুরু হচ্ছে
শুক্লপক্ষ শুরু হচ্ছে শুক্রবার অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯.৩৩ মিনিট থেকে। শুক্লপক্ষ শেষ হচ্ছে শনিবার দুপুর ১২.০৪ মিনিটে। অর্থাৎ শুক্ল পক্ষের ইতি হচ্ছে ২৭ সেপ্টেম্বর।
মহাপঞ্চমীর তাৎপর্য কী
বাড়ির পুজো থেকে বিভিন্ন পুজো প্যান্ডালে মহাপঞ্চমীতেই দেবী চলে আসেন। ঘট বসিয়ে তাঁর আমন্ত্রণ বা অধিবাস হয় না ঠিকই, তবে মায়ের টানে প্যান্ডালে প্যান্ডালে হাজির হয়ে যায় বহু বাঙালি। তাই মহাপঞ্চমী মানেই পুজো শুরু।
বিশ্বাস করা হয়, দানব, রাক্ষস মহিষাসুরকে শেষ করতে দেবী দুর্গাকে মর্তলোকে পাঠানো হয়। ব্রক্ষ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর তাঁকে শক্তি প্রদান করেন। অস্ত্রে সাজিয়ে দেন গোটা দেবকূল। তবে দেবাদিদেব মহাদেবের ত্রিশূল দিয়েই শেষ পর্যন্ত মহিষাসুরকে বধ করেন দেবী দুর্গা। দুষ্ট মহিষাসুরকে শেষ করে ধরাধামের যে কল্যাণ, হিত করেন দেবী, তাঁর স্মরণেই ৫ দিন ধরে বাঙালি পুজো করে। দেবীকে তুষ্ট করে। আর এই পুজোর রীতিই বাঙালির দুর্গোৎসব বা শারদ উৎসব।