Subho Maha Saptami (Photo Credits: File Photo)

দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2021) আসল সময় হল বসন্তকাল (Spring)। সেই পুজোকে বলা হয় বাসন্তী পুজো (Basanti Puja)। ত্রেতা যুগে ভগবান রামচন্দ্র (Ramchandra) সীতাদেবীকে (sita) উদ্ধারের জন্য অকালে দেবীকে (Devi) আরাধনা করেছিলেন। যার কারণেই সেই আরাধনা অকালবোধন (Akal Bodhan) নামে পরিচিত। আর এই পরিসরটাই বাঙালির ক্যালেন্ডারে (Bengali Calendar) বছরের সেরা উৎসব (Main Festival) - দুর্গাপুজো। শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে দেবীকে পুজো করেছিলেন বলে শরতের এই পুজোকে বলা হয় অকালবোধন। এবছরের পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। আরও পড়ুন: নবরাত্রি উপলক্ষে আত্মীয় পরিজনদের whatsApp, Messenger এবং Facebook-এ শেয়ার করুন এই শুভেচ্ছা বার্তা

জানুন চলতি বছর মহাসপ্তমীর নির্ঘণ্ট-

মহাসপ্তমী : ২৫ আশ্বিন/১২ অক্টোবর, মঙ্গলবার।

শ্রী শ্রী দেবীর মহাসপ্তমীবিহিত পুজো শুরু - ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট। সেদিন সূর্যোদয় ৫ টা ৩৬ মিনিটে, সপ্তমীর সময়সীমা রাত ১ টা ৪৮ মিনিটে। পূর্বাহ্ন মধ্যে দ্বত্ম্যক চরলগ্নে ও চরণবংশে দেবী দুর্গার নবপত্রিকা প্রবেশ স্থাপন, সপ্তম্যাদীকল্পারম্ভ ও সপ্তমী বিহিত পূজা প্রশস্তা।

জানুন মহাসপ্তমীর তাৎপর্য (Significance)? যদি জানা না থাকে, তাহলে সপ্তমীর সকালে এক ক্লিকেই জেনে নিন দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিনের তাৎপর্য-

শ্রী সমীরেশ্বর ব্রহ্মচারীর (Shree Samireswar Brahmachari) কথায়, শরতকালে (Autumn) অনুষ্ঠিত হয় এই পুজো। এই সময় স্বর্গের দেবতাগণ ঘুমিয়ে থাকেন। তাই দেবীকে ঘুম থেকে তোলার জন্য আহ্বান করতে হয়। দেবী এই সময় কুমারী (Kumari) রূপে বেল গাছের পাতায় অবস্থান করেন। তাই ষষ্ঠীর দিন বেল গাছের তলায় দেবীর বোধন (Bodhan) ও অধিবাস (Adhibas) সম্পন্ন হয়।

বেল গাছের একটি ডালকে (Brunch) চিহ্নিত করে রাখা হয় এদিন। আর আজ অর্থাৎ সপ্তমীর দিন ওই চিহ্নিত ডাল কেটে মণ্ডপে পুজোর স্থানে নিয়ে আসতে হয়। মহাসপ্তমীর দিন সকালে নিকটস্থ নদী বা কোনো জলাশয়ে (নদী বা জলাশয়ে না থাকলে কোনো মন্দিরে) নিয়ে যাওয়া হয়। পুরোহিত নিজেই কাঁধে করে নবপত্রিকা নিয়ে যান। তাঁর পিছন পিছন ঢাকীরা ঢাক বাজাতে বাজাতে এবং মহিলারা শঙ্খ ও উলুধ্বনি করতে করতে যান। শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী স্নান করানোর পর নবপত্রিকাকে নতুন শাড়ি পরানো হয়। তারপর পূজামণ্ডপে নিয়ে এসে নবপত্রিকাকে দেবীর ডান দিকে একটি কাষ্ঠসিংহাসনে স্থাপন করা হয়।