কলকাতা, ১ অক্টোবর: পেশাগত দিক দিয়ে তিনজনেই বিচ্ছিন্ন। তাই একযোগে পরিচয় হওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি কোনদিনই। কিন্তু একটা জায়গায় তিনজনেরই ভীষণ মিল ছিল। তিনজনেই শিল্পী (Artist)। তিনজনেই ছিলেন সুরের সুপ্ত প্রতিভা। আর এই সঙ্গম স্থলই মিলিয়ে দিয়েছিল তিন শিল্পীকে। একসঙ্গে পুজোর থিম সং (Puja Theme Song) বেঁধে ফেলেছিলেন রাণাঘাটের রানু মণ্ডল (Ranu Mondal), চা বিক্রেতা বিজয় সুরদীপ শীল (Bijoy Surodip Sil) এবং সাংবাদিক প্রীতম দে (Journalist Pritam De)। বিগত ১৮ অগস্ট কলকাতার পার্কস্ট্রিটের (Park Street) একটি রেকর্ডিং স্টুডিওতে অর্জুনপুরের আমরা সবাই ক্লাবের (Arjunpur Amra Sabai Club) জন্য গান রেকর্ড করেছিলেন ত্রয়ী শিল্পী। কিন্তু রানু মণ্ডলের রেকর্ড করা সেই পুজোর গান প্রকাশ্যে আসেনি। প্রায় দেড় মাস পর প্রকাশ্যে এল অর্জুনপুর আমরা সবাই ক্লাবের জন্য রেকর্ড করা সেই থিম সং। ভাইরাল হওয়ার পর, হিসেব মত রানুর প্রথম রেকর্ড করা প্রথম গান এই গানটিই।
রইল ভিডিওর লিঙ্ক-
রানু বর্তমানে নামি শিল্পী। হিমেশ রেশামিয়ার (Himesh Resamia) সঙ্গে প্লেব্যাক করে ফেলেছেন বলিউডে। বিভিন্ন জায়গায় গান গাইছেন। কিন্তু রানুকে দিয়েও যে এইভাবে গান গাওয়ানো যায় তা প্রথম মাথায় এসেছিলেন সাংবাদিক প্রীতম দে। রানু যে গান গেয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন তা ছিল সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেস্করের (Lata Mangeskar)। প্রীতম ভেবেছিলেন, কেমন হয় যদি রানুর গান সকলের মুখে মুখে ফেরে? ‘লতার গান’…’আশার গানে’র পাশাপাশি যদি উঠে আসে ‘রানুর গান?’তাহলেই বা কেমন হয়? আর এই ভাবনা থেকেই গীতিকার তথা সাংবাদিক প্রীতম দে’র মাথায় আসে পরিকল্পনা। অর্জুনপুরের আমরা সবাই ক্লাবের সদস্যদের কাছে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান প্রীতম। কিন্তু গানের কথা থাকলেই তো হল না, চাই সুর। সুর দেবে কে? মাথায় আসে গানওয়ালা চা বিক্রেতা বিজয় শীলের কথা। মহানগরের বুকে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনের কাছে যে চায়ের দোকানে রোজ চায়ের সঙ্গে গানের স্বাদ নিয়ে বাড়ি ফেরেন কলকাতাবাসী সেই বিজয় শীলকে গানের সুর বাঁধার ভার দেন প্রীতম। তিন শিল্পীর মিলিত প্রয়াসে রেকর্ড হয়, ‘ তোমারই আশ্রয়ে আমারই আশ্রয় মা…বাঁশের বাসরে হেরি তোমারই মহিমা।’এই ভাবনা থেকেই ভাইরাল শিল্পী রানুর উড়ান। রাতারাতি হয়ে ওঠেন বলিউড প্লেব্যাক সিঙ্গার। আরও পড়ুন- Ranu Mondal: পাসপোর্ট অফিসে রানু- অতীন্দ্র, তবে কি এবার বিদেশের মঞ্চে?
প্রীতম লেটেস্টলি বাংলাকে জানান, "গানটি ‘উমা সঙ্গীত (Uma Sangeet)।’যার প্রণেতা প্রীতম নিজেই। মা উমার আহ্বান করা হবে এই গান দিয়ে।"