কলকাতা : বর্ষাকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সর্দি-কাশি (Cold & Cough) এই মৌসুমে সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, এবং সর্বত্রই মানুষকে কাশি ও হাঁচি দিতে দেখা যায়। এ মৌসুমে কাশির সিরাপ বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায় বললে ভুল হবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই কাশির সিরাপগুলি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। অপিয়েট ফোলকোডিন সাধারণ অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে অস্ত্রোপচার করানো লোকেদের মধ্যে মারাত্মক অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া রক্তচাপ, রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া, হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা এবং অক্সিজেনের মাত্রা কম হওয়ার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই আজ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যার সাহায্যে আপনি ওষুধ ছাড়াই সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সর্দি-কাশি সারাতে কী করবেন?
মধু
মধু গলা ব্যথা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে। আরও ভালো ফল পেতে গরম জল বা ভেষজ চায়ে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। মধুতে শুধু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যই নয়, এটি ব্রঙ্কিয়াল টিউবের শ্লেষ্মা এবং প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।
আদা
আদা কাশি উপশম করতে, শ্বাস নালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সর্দি-কাশির উপসর্গ কমাতে আদা চা বা আদা জল উপকারী।
আরও পড়ুন : Conjunctivitis: জয় বাংলার আতঙ্কে চলতি সপ্তাহে সব স্কুল বন্ধের নির্দেশ
লবণ জল দিয়ে গার্গল
একটি সাধারণ লবণ জলের গার্গল গলা ব্যথা কমাতে পারে এবং কাশি থেকে মুক্তি দিতে পারে। গরম জলে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে দিনে কয়েকবার গার্গল করুন।
লেবু ও গরম জল
লেবুর ছেঁকে উষ্ণ জল পান করা হাইড্রেশন এবং ভিটামিন সি সরবরাহ করতে সাহায্য করবে। এতে সর্দি এবং কাশির মতো মৌসুমী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
হলুদ দুধ
হলুদে কারকিউমিন নামক একটি যৌগ রয়েছে। ঘুমানোর আগে গরম হলুদ দুধ পান করলে কাশিতে উপশম হয় এবং ভালো ঘুম হয়।
রসুন
রসুন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। কাঁচা রসুন খাওয়া বা খাবারে যোগ করা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি ও কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।