দেশজুড়ে বাড়ছে ধর্ষণের (Rape) সংখ্যা। নির্মম ও জঘন্য অত্যাচারের পাশাপাশি ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় করা হচ্ছে খুন। উন্নাও, নির্ভয়া, কাঠুয়া, হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে উত্তপ্ত দেশ। যার ফলে গত কয়েক বছর ধরে আতঙ্কে বসবাস করছে আমজনতা। শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে হচ্ছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। মহিলা ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ে সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠে এসেছে দেশের নাগরিকের মুখ থেকে। পাশাপাশি ধর্ষণকারীদের কঠোর সাজা ও মৃত্যুদণ্ডের দাবিও করেছে আম জনতা। ধর্ষণকে সব দেশ ও সমাজে অন্যতম বড় ও ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই ধর্ষণের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধানও সেভাবে নির্ধারণ করা হয়। তবে কয়েকটি দেশে ধর্ষণের সাজা মারাত্মক।
ধর্ষণ রুখতে বিভিন্ন দেশে বিভিন্নরকম শাস্তির (Punishment) ব্যবস্থা রয়েছে-
চীন (China)
এখানে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে এই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতাও রয়েছে। কারণ, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর অভিযুক্ত নির্দোষ প্রমাণ হতেও দেখা গেছে। তাই আরেকটি শাস্তি রয়েছে পুরুষাঙ্গচ্ছেদ।
আফগানিস্তান (Afghanistan)
আদালত রায় দেওয়ার চারদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় কিংবা ফাঁসি দেওয়া হয়।
ফ্রান্স (France)
ধর্ষণের শাস্তি ১০-১৫ বছরের কারাদণ্ড। তবে ক্ষতি ও নৃশংসতার বিচারে তা ৩০ বছর পর্যন্ত বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।
সৌদি আরব (Saudi Arabia)
ধর্ষণের জড়িত থাকলে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ। তবে তার আগে দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়।
উত্তর কোরিয়া (North Korea)
ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো হয়। অপরাধীকে মাথায় এবং অন্যান্য অঙ্গে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়।
মিশর (Egypt)
মিশরে এখনও অনেক অপরাধে মধ্যযুগীয় শাস্তির প্রথা থাকলেও ধর্ষণের শাস্তি একমাত্র ফাঁসি।
ইরান (Iran)
শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষককে ফাঁসি অথবা প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
ইজরায়েল (Israel)
দোষ প্রমাণিত হলে ৪ থেকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US)
স্টেট ও ফেডারেল আইন অনুযায়ী ধর্ষণের বিচার ভিন্ন। ফেডারেল আইন অনুযায়ী দোষীর সাজা কয়েক বছরের কারাদণ্ড থেকে যাবজ্জীবনও হতে পারে। কারাবাস হলে তা ৩০ বছরের জন্যও হয়।
রাশিয়া (Russia)
ধর্ষকের তিন থেকে ছয় বছরের কারাদণ্ড হয়। তবে পরিস্থিতির বিচারে তা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। যদি ধর্ষকের আচরণ অত্যন্ত নৃশংস হয়ে থাকে, তবে ২০ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে।
দেশজুড়ে ধর্ষণ ছাড়া অন্য কোনো অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পেলে, কোথাও ইলেকট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলা হয়, কোথাও বা মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়। আবার কোথাও প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন দিয়ে অপরাধীকে মেরে ফেলা হয়। দেশজুড়ে জনতার ক্ষোভের কারণে তারা কঠিন শাস্তির দাবি করছে। শুধু ফাঁসিই নয়। পুরুষাঙ্গচ্ছেদ থেকে গুলি করে মেরে দেওয়ার মত শাস্তিরও দাবি করেছে জনগণের একাংশ।