Boost Digestive Health (Photo Credit: Latestly)

Boost Digestive Health: খাবার হজম হচ্ছে না! বার বার বাথরুমে ছুটতে হচ্ছে! সেই সঙ্গে পেটে ব্যাথাও রয়েছে! কীভাবে এর থেকে মুক্তি পাবেন এর থেকে, তা ভেবে আকুল হয়ে যাচ্ছেন যখন তখন এই পদ্ধতিগুলি আপনার জন্য। ভারতে আয়ুর্বেদে এমন একটি জায়গা রয়েছে, যা থেকে আপনি হজম শক্তি বাড়াতে পারেন। বিশ্বাস করা হয়, এই আয়ুর্বেদ আপনার হজম শক্তি (Boost Digestive Health)  বাড়িয়ে , শরীরকে রিষ্টপুষ্ট করে তুলতে পারে।

আয়ুর্বেদে (Ayurveda) গ্রহাণীর নামের একটি উপসর্গ রয়েছে, যা আপনার শরীরকে তছনছ করে দিতে পারে। তাই গ্রহাণী দোষ কাটাতে সমস্ত খাবারকে সঠিকভাবে হজম করাতে হয়। আপনি যে খাবারদাবার উদরস্ত করবেন, তা কীভাবে শরীরের উপর সুপ্রভাব বিস্তার করতে পারে, তার জন্য আপনাকে গ্রহাণী দোষ কাটিয়ে ফেলে সুস্বাস্থ্য গড়ে তুলতে হবে।

খাবার যদি সঠিকভাবে হজম না হয়, তাহলে শরীরে নানা ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি হয়। যে অসুবিধা থেকে আপানি একাধিক ধরনের রোগ, ব্যাধির সম্মুখীন হতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে যদি আপনি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে শরীর ক্রমশ ভেঙে পড়তে শুরু করবে। সেই সঙ্গে দেখা দেবে ডায়রিয়া, দুর্বলতার মত একাধিক শারীরিক উপসর্গ।

আয়ুর্বেদে উল্লিখিত এই গ্রহাণী দোষ-এর লক্ষ্মণগুলি কী কী 

গ্রহাণী দোষের একাধিক উপসর্গ রয়েছে। যার মধ্যে ঘন ঘন ডায়রিয়া, পেটে ভারি ভাব, খিদে হ্রাস, ক্লান্তি, দুর্বলতী, খাবারে অনিহা, গ্যাস তৈরি হওয়া। এইগুলি যখন আপনার পেটে পাক খেতে শুরু করে ক্রমাগত, তাহলে বুঝতে হবে আপনি গ্রহাণী দোষে আক্রান্ত। খাওয়ার পরপরই যদি আপনাকে বাথরুমের দিকে ছুটতে হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি গ্রহাণী দোষে ( Grahani Symptoms) আক্রান্ত।

সেই সঙ্গে বার বার যদি শরীর বাতকর্ম করে, পিত্ত উঠে আসে মুখ দিয়ে, তাহলেও আপনি গ্রহাণী দোষে আক্রান্ত বলে মনে করতে হবে।

আয়ুর্বেদের মাধ্যমে কীভাবে কাটাবেন গ্রহাণী দোষ 

গ্রহাণী দোষ কাটাতে আয়ুর্বেদে বেশ কয়েকটি পদ্ধতির করা বলা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম সুষম খাবার। পেট ভাল রাখতে বা গ্রহাণী দোষ কাটাতে খান মুগ খিচুড়ি। বেলের শরবত, বাটার মিল্ক এবং জিরের জলের মতো হালকা খাবার পেট ভাল রাখতে অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।

সেই সঙ্গে ভারি খাবার খাওয়া যাবে না, মশলাদার খাবার থেকে দূরে থাকুন। বাসি খাবারও খাওয়া উচিত নয় গ্রহাণী দোষে আক্রান্তদের।

সুষম খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন যোগ ব্যায়াম করুন। প্রাণায়ামের মাধ্য়মে জীবনকে আরও সুসংহত করুন। বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম যেমন মানসিক শান্তি বাড়ায় তেমনি শরীরকেও ভাল রাখতে সাহায্য করে।

এসবের পাশাপাশি আদার রস, মৌরী, মধু, পুদিনা পাতার রস, বাটারমিল্ক, ইসবগুল, কুসুম গরম জল, হালকা গরম দুধ পান করুন। যা আপনার হজম শক্তিতে বাড়াতে সাহায্য করে। তবে যাঁদের গ্যাস বা অ্যাসিডের সমস্য়া রয়েছে, তাঁরা দুধ বা দুধজাতীয় খাবার সব সময় এড়িয়ে চলুন।