Bhoot Chaturdashi Wishes in Bengali: মা দুগ্গা ছেলেমেয়েকে নিয়ে কৈলাসে ফিরে গিয়েছেন তা-ও দেখতে দেখতে অনেকগুলি দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে মা লক্ষ্মী ধরাধামে পা রেখে গৃহস্থের মনস্কামনা পূর্ণ করেছেন। নাড়ু মুড়কির সে এক বিরাট সমাহার। তবে পার্বণ প্রিয় বাঙালির তো শুধু উপলক্ষ দরকার। তাহলেই সে নিজের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে উদযাপনে কোনওরকম ত্রুটি রাখে না। রাত পোহালেই কালীপুজো, ঠিক তার আগের দিনটিতে কেমন যেমন গা ছম ছমে পরিবেশ হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন ভূত চতুর্দশী। এদিন প্রিয়জন থেকে শুরু করে পরিজন বন্ধু বান্ধবকে শুভেচ্ছা জানাতে চাইলে লেটেস্টলি-র শুভেচ্ছার পাতায় আপনাকে চোখ রাখতেই হচ্ছে। ভূত চতুর্দশীর হরেক রকম শুভেচ্ছা বার্তা রইল আপনাদের জন্য।
Photo Credit: File Photo
Photo Credit: File Photo
Photo Credit: File Photo
সবার বাড়িতে তখনও বিদ্যুৎ আসেনি। সন্ধ্যার পরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। কালীপুজোর আগে ভূত চতুর্দশী। ভূত! সূর্যাস্তের পরে এই একটি শব্দ যে কী ভাবে মাথা ও মনের ভিতরে ডালপালা মেলত সে-ও এক বিস্ময়! কিন্তু মা তো সব জানে! এমনকী ভূতের মন্তরও। তা-ও আবার নির্ভেজাল চলিত বাংলায়। ভূত চতুর্দশীর রাতে বাড়ির বাইরে বেরোনোর সময় শিখিয়ে দেওয়া হত সেই মন্তর, ‘ভূত আমার পুত, পেত্নি আমার ঝি/রাম-লক্ষ্ণণ বুকে আছে করবি আমার কী!’ গল্প নয়, দু’দশক আগে কালীপুজো এলেই যেন গ্রাম বাংলার গৃহস্থ বাড়িতে এক কাঙ্ক্ষিত ভয় বাসা বাঁধতো, তুলসী মঞ্জরীর পাশের জবা গাছটা যেন কেমন নড়ছে না? ওই দেখো বেলিফুল গাছের ঝাড়ের তলা থেকে কীভাবে দত্তদের হুলোটা বেরিয়ে এল। টর্চটা দাও দেখি, এ যে হুলো নয়, কালো বেড়াল। রায়গিন্নি কুপী জ্বালতেই চোখের পলকে হলকা হেনে অদৃশ্য হল সে। পাড়ার মোড়ের খোঁড়া কুকুরটা ঠিক তখনই কেঁদে উঠল। কী এক অজানা আশঙ্কায় রামনাম জপ করতে থাকলেন রায়গিন্নি।