
Basanti Puja: ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে বাসন্তী পুজো (Basanti Puja)। কথিত আছে, দেবী দুর্গার অন্যতম রূপ হল বাসন্তী পুজো। বসন্তকালে এই পুজো হয় বলে দেবী দুর্গার (Durga Puja) এই রূপকে বাসন্তী পুজো বলা হয়। বাসন্তী পুজোর উপাচার অনেকটাই দুর্গা পুজোর মত। এই পুজোতেও দেবীর আগমণ এবং গমন কিসে হচ্ছে, তা নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। এবার গজে আগমণ হচ্ছে দেবীর। গমনও হচ্ছে গজে। ফলে দেবীর গজে আগমণ এবং গমনে কী প্রভাব পড়তে চলেছে মানুষের মধ্যে, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জানা যায়, গজে আগমন এবং গমনে মানুষের জীবনে সুখ বৃদ্ধি করে। শষ্যের ফলন ভাল হয় মনেই মনে করা হয়।
বাসন্তী পুজোর রীতি সবটাই দুর্গা পুজোর মত করে হয়। দুর্গা পুজোয় যে মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়, বাসন্তী পুজোতেও সেই একই রকমভাবে দেবী পুজিত হন। দুর্গা পুজোর মত করেই মহিলারা এই পুজোর শেষ দিনে সিদূঁর খেলেন এবং পরের বছর মাকে আগমণের আমন্ত্রণ জানান। বাঙালির বহু বাড়িতে বাসন্তী পুজোর প্রচলন রয়েছে। দুর্গা পুজোর মত করেই সাড়ম্বরে দেবী পূজিত হন বসন্তকালে।
শরৎকালে রামচন্দ্র দেবী দুর্গার পুজো করেছিলেন। রাবণ বধ করে রামচন্দ্র রাজ্যে ফিরে দুর্গা পুজো করেন। ফলে দুর্গা পুজোকে এখনও দেবীর অকাল বোধনই বলা হয়। রামচন্দ্রের সেই অকাল বোধনের পুজোই বাঙালির কাছে শারদউৎসবে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে অনেকেই মনে করেন, অকাল বোধনের দুর্গা পুজো নয়, চৈত্রে এই বাসন্তী পুজোই আদতে দেবী দুর্গার আরাধনার প্রকৃত সময়।