Shashi Tharoor (Photo Credit: X)

দিল্লি, ২৮ মে: বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানের পর্দা ফাঁস করতে রাজনীতির সর্বদলের প্রতিনিধিরা আপাতত বিদেশ সফর করছেন। যেখানে কংগ্রেসের শশী থারুর (Shashi Tharoor ) থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওবেইসিরা রয়েছেন। বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদের (Terrorism) মুখোশ যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা (Abhishek Banerjee) টেনে খুলছেন, সেই সময় শশী থারুরকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। কংগ্রেসের (Congress) অভ্যন্তরেই শশী থারুরকে জোরদার সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে।

শশী থারুরকে কটাক্ষ 

কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ কটাক্ষ করেন থারুরকে। বলেন, 'শশী থারুর হলেন বিজেপির সুপার স্পোকসপার্সন অর্থাৎ মুখপাত্র'। শুধু তাই নয়,  শশী থারুর যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করছেন, তা হয়ত বিজেপির নেতারাও করেন না। এভাবেও উদিত রাজকে জোরদার কটাক্ষ থারুরের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিতে দেখা যায়। যা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে রাজনীতির অন্দরে।

আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee Expose Pakistan: পাকিস্তানে সন্ত্রাসের চাষ, বিশ্ব মঞ্চে ইসলামাবাদের মুখোশ টেনে ছিঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে অপারেশন সিঁদূরের কার্যকারিতা বোঝাতেই ভারতের একটি প্রতিনিধি দল দুবাই থেকে কুয়েত, জাপান হয়ে সিঙ্গাপুর সফর করছেন। আর সেখানেই রয়েছেন শশী থারুর। বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের মুখোশ খুলে, অপারেশন সিঁদূরের গ্রহণযোগ্যতা বোঝাতে যে চেষ্টা শশী থারুররা করছেন, তার জেরেই এবার কংগ্রেস সাংসদকে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়।

পহেলগাম হামলা এবং অপারেশন সিঁদূর

২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নীরিহ পর্যটকের মৃত্যু হয়। পহেলগাম হামলার পর ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদূর। য়েখানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পরপর ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। অপারেশন সিঁদূরের পর পাকিস্তান থেকে এক এক করে জঙ্গিদের মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে। যার জেরে পাকিস্তান পালটা হানাদারির চেষ্টা করে ভারতে। তবে পাক ড্রোনকে আকাশেই বিনষ্ট করে দেয় ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যার জেরে অস্ত্র বিরতির জন্য আবেদন জানায় পাকিস্তান। ফলে ভারত এবং পাকিস্তানের মাঝে অস্ত্র বিরতি হলেও অপারেশন সিঁদূর বন্ধ হয়নি। ভারতের হামলার চেষ্টা করলেই যে পাকিস্তান এবং তার আশ্রিত জঙ্গিদের সমূলে ধ্বংস করা হবে, তা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।