বিশ্বের ৭০ শতাংশ ভরপুর জলে, তার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ জল পানীয়, বাকি একটা বিরাট অংশ জল পান করার জন্য উপযোগী নয়। পুরো পৃথিবী নির্ভরশীল এই ৩ শতাংশ জলের উপর। জলসম্পদ মন্ত্রক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এক বছরে ব্যবহৃত জলের আনুমানিক পরিমাণ ১১২১ বিলিয়ন ঘনমিটার। যেখানে পানীয় জলের চাহিদা পৌঁছতে পারে ২০২৫ সালে ১০৯৩ BCM এবং ২০৫০ সালে ১৪৪৭ BCM-এ ।

বিশ্বের বিশুদ্ধ জলের মাত্র ৪ শতাংশ রয়েছে ১.৪ বিলিয়নের বেশি জনসংখ্যার দেশ ভারতে। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে জল সংকট ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ভারতে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেখানে ভূগর্ভস্থ জল সংকটের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। জানা গেছে, ২০২৫ সালের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল ভূগর্ভস্থ জলের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হতে পারে। এই কারণে জলের গুরুত্ব বোঝার জন্য প্রতি বছর ২২ মার্চ পালন করা হয় বিশ্ব জল দিবস। ১৯৯৩ সালে প্রথম পালন করা শুরু হয় এই দিনটি।

জাতিসংঘ ১৯৯২ সালে, পরিবেশ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি সম্মেলনের আয়োজন করে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে। একই দিনে উদ্যোগ নেওয়া হয় বিশ্ব জল দিবস পালন করার। তবে ১৯৯২ সালের পরিবর্তে ১৯৯৩ সালে প্রথমবার পালিত হয় বিশ্ব জল দিবস। এরপর থেকে প্রতি বছর ২২ মার্চে পালিত হয় বিশ্ব জল দিবস। প্রতি বছর এই দিনটি পালন করা হয় একটি বিশেষ থিম দিয়ে। ২০২৪ সালের বিশ্ব জল দিবসের থিম হল 'শান্তির জন্য জলের ব্যবহার'। এই থিমের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে যদি সম্প্রদায় এবং দেশগুলি এই মূল্যবান উপাদান জলের গুরুত্ব বুঝতে পারে তাহলে জল শান্তির হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।