জিডিপি বা গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট একটি আর্থিক সূচক যা যে কোন দেশের সীমানার মধ্যে যে কোন জিনিসের মূল্য বেশ কিছুটা সময়ের জন্য নির্ধারণ করে।এবং সেদেশের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাপক হিসেবে কাজ করে।ব্যবসায়িক, নীতিনির্ধারক এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে এটি তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হিসেবে ব্যবহত হয় যাতে তাঁরা আর্থিক সিদ্ধান্ত, নীতি নির্ধারন সম্পর্কিত বিষয়গুলি করতে পারে।
বিশ্ব অর্থনীতি আপাতভাবে সুন্দর দেখতে মনে হলেও এটি আঘাতের পর আঘাত সহ্য করে চলেছে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে।যেমন আর্থিক মন্দা, আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং দুটি দেশের রাজনৈতিক মতপার্থক্যে ইত্যাদি।বিভিন্ন আর্থিক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে ২০২৩ সালে বিশ্বে জিডিপি ২.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। যা ২০২২ এর ৩.৩ শতাংশ থেকে কম।যা আবার ২০২৪ সালে গিয়ে আরেকটু কম ২.৪ শতাংশে দাঁড়াবে।
এর মধ্যেই ইন্টারন্যাশন্যাল মনিটরি ফান্ড, গোল্ডম্যান্ড স্যাচের মত সংস্থা ভারত, আমেরিকা রাশিয়া,চীনের জিডিপি নিয়ে কিছু ভবিষ্যতবাণী করেছেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেগুলি।
ভারত-
২০৭৫ সালের মধ্যে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে সামনে আসবে চীনের পর।আর এই অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে গুলি কাজ করবে তার মধ্যে হল, আমদানী রপ্তানি ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে উন্নতি, বেসরকারী ক্ষেত্রে আর্থিক খরচের বহর বাড়ানো ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়ার মত বিষয়গুলি।গোল্ডম্যান স্যাচে তাদের একটি রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে।
ভারতের বর্তমান জিডিপি দাঁড়িয়ে রয়েছে ৩.৭৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারে।রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের জিডিপি ২০২৮ সালে দাঁড়াবে ৫.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।এবং ২০৭৫ সালে তা এক লাফে দাঁড়াবে ৫২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোথায় রয়েছে অন্যান্যরা-
ইন্টারন্যাশন্যাল মনিটরি ফান্ড এবং গোল্ডম্যান স্যাচের হিসেব অনুযায়ী ১৯.৩৭৪ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৮ সালে ২৭.৪ ট্রিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়াবে।যা ২০৭৫ সালে ৫৭ ট্রিলিয়ন অবধি পৌছতে পারে বলে জানিয়েছে দুই সংস্থা।সেখানে আমেরিকা ৩২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার পৌছবে ২০২৮ সালে।জার্মানির ডিজিপি ২০২৮ সালে ৫ ট্রিলিয়ন এবং ২০৭৫ সালে দাঁড়াবে ৮.১ ট্রিলিয়নে।ইউকে জিডিপি ৪.২ ট্রিলিয়ন ডলার দাঁড়াবে ২০২৮ সালে এবং তা ২০৭৫ সালে তা পৌছবে ৭.৬ ট্রিলিয়ন ডলারে।রাশিয়া ২০২৮ ২.২ ট্রিলিয়ন থেকে ২০২৭৫ সালে ৬.৯ ট্রিলিয়নে পৌছবে জিডিপি।