Swami Krushnaswarup Dasji: পিরিয়ড চলাকালীন স্বামীর জন্য খাবার রান্না করলে পরজন্মে কুকুর হয়ে জন্মাবেন: স্বামী কৃষ্ণস্বরূপ দাসজি
স্বামী কৃষ্ণস্বরূপ দাসজি (Photo Credits: Screengrab/Youtube)

কচ্ছ, ১৮ ফেব্রুয়ারি: যে মহিলা পিরিয়ড (Menstruation) চলাকালীন স্বামীর জন্য খাবার রান্না করেন তবে তিনি পরের জন্মে কুকুর (Bitch) হয়ে জন্মাবেন। এই মন্তব্য করলেন স্বামীনারায়ণ ভূজ মন্দিরের (Swaminarayan Bhuj Mandir) স্বামী কৃষ্ণস্বরূপ দাসজি (Swami Krushnaswarup Dasji)। তিনি আরও বলেন যে কোনও স্বামী যদি পিরিয়ডে থাকাকালীন কোনও মহিলার হাতে তৈরি খাবার খান তবে তিনি ষাঁড়" হিসাবে পুনর্বার জন্মগ্রহণ করবেন। কয়েকদিন আগেই ভূজের স্বামীনারায়ণ মন্দিরের অনুগামীদের দ্বারা পরিচালিত একটি কলেজের ৬৮ জন ছাত্রীকে জোর করে অন্তর্বাস খোলানো হয়েছিল ঋতুস্রাব হয়েছে কি না তা পরীক্ষার জন্য। আমেদাবাদ মিররের খবর অনুযায়ী কৃষ্ণস্বরূপ দাসজি বলেন, 'শাস্ত্রে' বর্ণিত নিয়ম অনুসারে যদি কোনও মহিলা কোনও খাবার প্রস্তুত করেন তবে তিনি কুকুর হয়ে উঠবেন। তিনি বলেন, "এখন যেহেতু আমি এটি বলেছি, সবাই অনুভব করবে যে আমি কঠোর। মহিলারা কাঁদতে থাকবে কারণ তারা ভাববে যে আমরা কুকুরে পরিণত করব। তবে হ্যাঁ, কুকুর হতেই হবে।"

একদিকে যখন মহিলারা ঋতুস্রাব (Menstruating) নিয়ে সমাজে চলে আসা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সেখানে গুজরাতের (Gujarat) একটি কলেজের ঘটনা তাদের লড়াইকে ধাক্কা দেবে। আমরা যে এখনও কতটা পিছিয়ে তা এই ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। নিজেদের আধুনিক ভাবার মানসিকতাকে ধাক্কা দিতে বাধ্য এই ঘটনা। একজন পড়ুয়াকে আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাদানই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কর্তব্য। সেখানে এই কলেজ ঠিক উল্টোটাই করেছে। কলেজের হস্টেলে ৬৮ জন ছাত্রীকে তারা লাইনে দাঁড় করিয়ে জোর করে অন্তর্বাস (Undergarments) খুলিয়ে ঋতুমতী কি না তার পরীক্ষা নিয়েছে। ছাত্রীদের প্রমাণ দিতে হয়েছে তারা ঋতুমতী নয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের ভুজের শ্রী শাহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউট (Shree Sahajanand Girls Institute) নামের একটি কলেজে। আরও পড়ুন: Gujarat: ঋতুমতীর প্রমাণ নিতে ৬৮ জন ছাত্রীর অন্তর্বাস খোলাল কলেজ

এই ঘটনার পর এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল এবং কলেজের অধ্যক্ষ রিতা রানিঙ্গা, হস্টেলের রেক্টর রমিলাবেন এবং পিয়ন নয়নাকে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৪ (জুলুম), ৫০৬ (ফৌজদারি ভয়ভীতি) এবং ৩৫৫ (কোনও ব্যক্তিকে অসম্মান করার অভিপ্রায় হামলা) ধারার আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।