পুনে: সাধারণত বিবাহ বিচ্ছেদের (divorce case) মামলার ক্ষেত্রে দেখা যায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী স্বামীই (Husband) খোরপোষ (Alimony) দেয় স্ত্রীকে (wife)। কিন্তু, পুনের আদালতে চলা একটি মামলার ক্ষেত্রে এর উলটো ঘটনাই ঘটল। উচ্চ শিক্ষিত এক মহিলাকে এককালীন খোরপোষ (permanent alimony) হিসেবে স্বামীকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন পুনের দেওয়ানি আদালতের (Pune Civil court) বিচারক (Judge)।
২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছিল ওই দম্পতির (couple)। কিছুদিন পরে দুজনের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য (ideological differences) দেখা দেওয়ায় তাঁরা আলাদা বসবাস করতে শুরু করেন। ৩৩ বছর বয়সী স্ত্রীর যেখানে এম টেক-এর ডিগ্রি ছিল সেখানে ৩৮ বছরের স্বামীর ছিল বি টেক গ্র্যাজুয়েট। ২০২২ সালের মার্চ মাসে স্বামী খোরপোষ চেয়ে আদালতে আবেদন করে। পরে একই আবেদন করে স্ত্রীও। উভয়পক্ষের কাগজপত্র (documents) খতিয়ে দেখে আদালত বুঝতে পারে স্ত্রী যেসমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছে তা ভুয়ো (fake) ও ভুল পথে চালিত (misleading) করার জন্য।
পুনের দেওয়ানি বিচারক এস ভি ফুলবান্ধের এজলাসে মামলাটি শুনানি হওয়ার পর বিচারক স্ত্রীকে এককালীন খোরপোষ হিসেবে স্বামীকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই রায় মূলত আদালতের কর্মপদ্ধতিতে স্বচ্ছতার গুরুত্ব (importance of transparency in court proceedings) ও ভুয়ো কাগজপত্র জমা দিলে কী ফল হতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ (consequences of submitting fraudulent documents) বলেই মত আইনজীবী মহলের।
#Pune Court Orders Woman To Pay Alimony Of Rs 50,000 To Husband In Divorce Case
— Punekar News (@punekarnews) May 9, 2023