Representational Image (Photo Credits: PTI)

নয়াদিল্লিঃ স্বামীর (Husband) শুক্রাণুর সংখ্যা কম শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসতেই ভেঙে পড়েছিল পরিবার নাতি নাতনির মুখ দেখার জন্য আশায় ছিলেন বাড়ির বড়রা এবার উত্তরাধিকার চেয়ে ছেলের অনুমতিতে বৌমাকে লাগাতার ধর্ষণ শ্বশুরের বাদ গেল না বিবাহিত দেওরও বৌদিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধেও অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ নির্যাতিতা

দেওর ও শ্বশুরের দ্বারা প্রতিদিন নির্যাতিত, অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ গৃহবধূ

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের ভদোদরায়। নভোপুরা পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে বিয়ে হয় ওই তরুণীর বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে নানারকম অশান্তি পোহাতে হয় তাঁকে দ্রুত সন্তানধারণের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ আসতে থাকে চেষ্টা করেও সন্তান প্রসব না করতে পারায় দম্পতির শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় পরীক্ষায় জানা যায়, স্বামীর শুক্রাণুর সংখ্যা অত্যন্ত কম। তাই সাধারণভাবে সন্তানধারণ সম্ভব নয় এরপরই তরণী সন্তান দত্তক নেওয়ার প্রস্তাব দেন কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা নির্যাতিতার অভিযোগ,এরপরই তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার শুরু করে শ্বশুর দেওর ২০২৪ সালের এক রাতে আচমকাই তাঁর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন শ্বশুর সেদিনই প্রথম তাঁকে ধর্ষণ করে শ্বশুর চিৎকার করলেও কেউ তাঁকে বাঁচাতে আসেনি

পরে নির্যাতিতা জানতে পারেন, তাঁর স্বামীর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এই ব্যাপারে এরপর থেকে লাগাতার তাঁকে ধর্ষণ করতে থাকে শ্বশুর এমনকি এই চুপিসারে তাঁকে ধর্ষণ করতে শুরু করে বিবাহিত দেওরও চলতি বছরের জুন মাসে গর্ভবতী হন তরুণী কিন্তু অগস্ট মাসেও গর্ভপাত হয় এরপর তরুণীর কপালে জোটে আরও অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নভোপুরা থানার পুলিশ

স্বামীর সম্মতিতে প্রতিরাতে ধর্ষণ, শ্বশুর ও দেওরের লালসার শিকার গৃহবধূ