Arvind Kejriwal: পঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় পেলেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জীব আরোরা (Sanjeev Arora)। সঞ্জীব বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ায় আপের কাছে খালি হচ্ছে একটি রাজ্যসভার আসন। এখানেই জোর জল্পনা, তাহলে কি দিল্লি বিধানসভায় নিজের আসনেও হারা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবার রাজ্যসভার সাংসদ হবেন? কেজরিওয়াল রাজ্যসভায় যাবেন বলেই কি সঞ্জীবকে পঞ্জাব থেকে বিধানসভায় পাঠানো হল? কেজরিওয়াল কি এবার তাহলে দিল্লি রাজ্য রাজনীতি ছেড়ে দেশের সংসদে পা রাখবেন? দিল্লি হাতছাড়া হওয়ার পর আপ কর্মীদের ভেঙে পড়া মনোবল চাঙ্গা করতে কেজরির সংসদে যাওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। সোমবার উপনির্বাচনে জোড়া জয়ে কামব্যাক করার পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই জল্পনায় জল ঢাললেন, কেজরিওয়াল সাফ জানালেন, তিনি রাজ্যসভায় যাচ্ছেন না। তবে রাজ্যসভায় সঞ্জীব আরোরা-র পরিবর্তে কাকে নির্বাচিত হবে সেই বিষয়টি আপের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি ঠিক করবে বলে জানান কেজরিওয়াল। তার মানে রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন মঞ্চের জন্য রাজ্যসভায় নয়, মাঠে নেমেই করতে চাইছেন আপ প্রধান।
দিল্লিতে বড় হারের পর কেজরিওয়ালকে নিয়ে উঠেছিল বড় প্রশ্ন
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে বড় হারের পর কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সোমবার উপ নির্বাচনের ফলের পর কেজরিওয়াল কিছুটা স্বস্তি থাকবেন। কারণ পঞ্জাবের পাশাপাশি গুজরাটের মত রাজ্যেও কেজরির দল তাদের আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
রাজ্যসভায় যাওয়ার জল্পনা নিয়ে কী বললেন কেজরিওয়াল
#WATCH | On being asked if he will be going to Rajya Sabha after the party's Rajya Sabha MP Sanjeev Arora has won the Ludhiana West assembly by-elections, AAP National Convenor Arvind Kejriwal says, "I am not going to Rajya Sabha. Party's Political Affairs Committee will decide… pic.twitter.com/HYcBKJhPIx
— ANI (@ANI) June 23, 2025
উপনির্বাচনে জোড় জয় অক্সিজেন দিয়েছে কেজরিকে
দিল্লি ভোটের হারার পর কোণঠাসা কেজরিওয়ালের দল গুজরাট ও পঞ্জাব দুই জায়গাতেই তাদের পুরনো আসন ধরে রাখল। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার সেখানে আর জিততে পারবে না আপ। বিশেষ করে গুজরাটের জুনাগড়ের ভিসাভাদারের জয় কেজরিওয়ালের মুখে হাসি ফোটাবে। কারণ গতবার নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-র রাজ্যে ২০২২ বিধানসভা ভোটে এই আসনে জিতেছিলেন আপ প্রার্থী ভূপেন্দ্রভাই ভায়ানি। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন, এবং বিধায়ক পদ ছাড়েন। উপনির্বাচনে বাজিমাত করলেন আপের গোপাল ইতালিয়া। বিজেপির কিরিত প্যাটেলকে প্রায় ১৭ হাজার ভোটে হারালেন আপের গোপাল। কংগ্রেসের নীতিন রানপারিয়া মাত্র সাড়ে ৫ হাজারের মত ভোট পেলেন। তবে গুজরাটের কাদি বিধানসভায় সাড়ে ৩৯ হাজার জিতলেন বিজেপির রাজেন্দ্রকুমার ছাওড়া। ২০২২ বিধানসভা ভোটে এই আসনে বিজেপি প্রার্থী জিতেছিলেন প্রায় ২৯ হাজার ভোটে। পঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আপ জিতল ব্যবধান বাড়িয়ে। কেজরির দলের প্রার্থী সঞ্জীব আরোরা ১০ হাজার ৬৩৭ ভোটে হারালেন কংগ্রেসের ভরত ভূষণ আশু-কে। সেখানে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী জিওয়ন গুপ্ত ২০ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে শেষ করলেন। তিন বছর আগে হওয়া পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে আপের গুরপ্রীত সিং গোগি জিতেছিলেন প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ভোটে। ২০১৭ বিধানসভায় বড় ব্যবধানে জিতেছিলেন কংগ্রেসের ভরত ভূষণ আশু। এখানের এক সময়ের দুবারের কংগ্রেস বিধায়ক ভরত ভূষণ টানা ২ বার হারলেন। উপ নির্বাচনে আপের এই জয় মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সরকারকে স্বস্তি দিল। কারণ দিল্লি হাতছাড়া হওয়ার পর পঞ্জাবে ভগবন্ত মান সিং সরকারকে নিয়ে একটা গেলো গেলো রব তৈরি হয়েছিল।