পুনে, ১৫ জুলাইঃ ঝাঁপ পড়ল পুনের (Pune) ৯০ বছরের পুরনো একটি খাবারের দোকানে, যার নাম ক্যাফে গুডলাক (Cafe Goodluck)। এই ক্যাফে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটকদের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করে এসেছে। ন'দশক পুরনো পুনের অন্যতম আইকনিক এই ইরানি ক্যাফে তার ভিনটেজ লুক এবং মনোমুগ্ধকর স্বাদে ভরা সাধারণ খাবারের জন্য পরিচিত। কিন্তু রাতারাতি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল ক্যাফে গুডলাকে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ক্যাফে গুডলাকের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্র খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (FDA) ক্যাফের লাইসেন্স স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেকের কাছেই অজানা, কেন আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হল ১৯৩৫ সালে স্থাপিত পুনের এই খাবারের দোকান।
ঝাঁপ পড়ল ক্যাফে গুডলাকে
পুনের ব্যস্ততম এফসি রোডে অবস্থিত ক্যাফে গুডলাক (Cafe Goodluck)। এখানকার অন্যতম জনপ্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে একটি হল বান মাসকা (Bun Maska)। গ্রাহকদের মধ্যে ক্যাফের এই খাবারের চাহিদা তুঙ্গে। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা একবার অন্তত এই খাবারের স্বাদ নিয়ে দেখেন। জনপ্রিয় এই খাবারের মধ্যেই মিলেছে কাঁচের টুকরো। যা ঘিরে গোটা ঘটনার সূত্রপাত।
ক্যাফের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ
দিন কয়েক আগে এক দম্পতি ক্যাফে গুডলাক আসেন। তাঁরা বান মাসকা এবং সঙ্গে চা অর্ডার করেন। মহিলা বান মাসকায় কামড় মারতেই মুখের মধ্যে শক্ত পদার্থের মতো কিছু অনুভব করেন। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন, এটি বরফের টুকরো। কিন্তু মুখ থেকে বের করতেই দেখা যায় ওটি কাঁচের টুকরো। ওই কাঁচের টুকরো মহিলা গিলে ফেললে সাংঘাতিক বিপদ ঘটে যেত। ভয়ানক সেই অভিজ্ঞতার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন দম্পতি। ক্যাফে গুডলাকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন এবং অবহেলার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। FDA-তেও রিপোর্ট করেন তাঁরা এবং বিষয়টি দ্রুত তদন্তের অনুরোধ করেন।
খাবারের মধ্যে মিলল কাঁচের টুকরো

ক্যাফে গুডলাকের মালিক কাসিম ইরানি ঘটনাটির দায় স্বীকার করেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন, বান মাসকার জন্যে ব্যবহৃত রুটি তিনি একটি বহিরাগত বেকারি সংস্থা থেকে আনাতেন। ক্যাফের কর্মীরাও এই ঘটনার জন্যে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে মহারাষ্ট্র খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ক্যাফের লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি এখনও তদন্তের আওতায় রয়েছে।