ফাইল ছবি

দিল্লি, ১০ জুলাই: আগামী ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুমোদন পেতে পারে কোভ্যাক্সিন (Covaxin )। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য হু-এর অনুমোদন পাবে ভারত বায়োটেকের করোনার এই ভ্যাকসিন। এমনই জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক সৌম্যা স্বামীনাথন।

তিনি জানান, ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনের (Vaccine) কার্যকারিতা কেমন, তা খতিয়ে দেখছে হু। কোভ্যাক্সিনের সমস্ত ডেটা স্বাস্থ্য সংস্থার পোর্টালে আপলোড করা হচ্ছে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে 'এমার্জেন্সি ইউস লিস্টে' অন্তর্ভুক্ত করা হবে কোভ্যাক্সিনকে। তার জন্য ৪-৬ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানান সৌম্যা স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan)।

হু-এর এক্সপার্ট অ্যাডভাইসরি গ্রুপের অনুমোদন পেলেই এই ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে। কীভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে, এর কার্যকারিতা কেমন, সমস্ত ডেটা আপলোডের পরই এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হবে। ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিনকে নিয়ে যাবতীয় তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে তুলে দিলে, আগামী ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে হু-এর সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন সৌম্যা স্বামীনাথন।

আরও পড়ুন:  Afghanistan: ফের বাড়ছে আধিপত্য, আফগানিস্তানের ৮৫% তাদের দখলে, দাবি তালিবানের

কোভ্যাক্সিনকে হু অনুমোদন দেয়নি। সেই কারণে কোভ্যাক্সিন নিলে বেশ কয়েকটি দেশে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি এমনই অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বহু মানুষ। তার জেরে প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও পাঠান  বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। হু-এর অনুমোদন না থাকায়, কোভ্য়াক্সিন নিয়ে বিদেশে যেতে পারছেন না বহু পড়ুয়া। এই সমস্যার যাতে শিগগিরই সমাধান করা হয়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) পদক্ষেপ করুন বলে আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য হু-এর তালিকায় যে ভ্যাকসিনগুলি রয়েছে, সেগুলি হল, ফাইজার, অ্যাস্ট্রোজেনেকা এস কে,  ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা, অ্যাস্ট্রোজেনেকা এইউ, জনসন, মর্ডানা এবং সিনোফার্ম।