উর্মিলা চতুর্বেদী (Photo Credits: IANS)

জব্বলপুর, ৪ আগস্ট: অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমি পুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী কাল বুধবার। ভূমি পুজো হয়ে গেলেই ২৮ বছরের উপবাস ভঙ্গ করবেন অশীতিপর উর্মিলা চতুর্বেদী (Urmila Chaturvedi)। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা ওই ৮১ বছরের বৃদ্ধা রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর আশায় এই দীর্ঘ উপবাসে রয়েছেন। ১৯৯২ সালে যখন অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয় সেই সময়ই খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন উর্মিলা চতুর্বেদী। বলেছিলেন যখন রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হবে, তখনই তিনি মুখে খাবার তুলবেন। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার পর দেশজুড়ে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল তা এখনও মনে রেখেছেন ওই বৃদ্ধা।

সেই হিংসা দেখেই উর্মিলা চতুর্বেদী সেদিন ঠিক করেছিলেন, যতদিন না বিতর্কিত জমিতে সকলের সম্মতিতে রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে ততদিন না খেয়েই কাটাবেন। সেই ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর থেকে শুধুমাত্র ফল খেয়েই রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। সারাদিন ধরে প্রার্থনা করে চলেছেন, নাহলে রামায়ণ পড়ছেন। গত ২৮ বছর ধরে এটাই তাঁর দিনলিপিতে পরিণত হয়েছে। যেদিন সুপ্রিম কোর্ট অয়োধ্যায় রাম মন্দিরের পক্ষে রায় দিল, সেদিন দারুণ খুশি হয়েছিলেন উর্মিলা চতুর্বেদী। এই রায় ঘোষণার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি শ্রী রঞ্জন গগৈকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠিও লেখেন তিনি। একই চিঠি যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও। ৫৩ বছর বয়সে রাম মন্দিরের তৈরি হওয়ার আশায় উপবাস শুরু করেছিলেন তিনি। চিন্তিত পরিজনরা বহুবার তাঁর কাছে উপবাস ভঙ্গের আবেদন করলেও প্রতিজ্ঞায় অটল ছিলেন বৃদ্ধা। Ram Temple Bhumi Pujan in Ayodhya: রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর শুভক্ষণ ঠিক করেছিলেন, হুমকি ফোনে আতঙ্কিত পুরোহিত

তিনি বলেছেন, অযোধ্যায় গিয়ে ভগবান রামের আশীর্বাদ নিয়েই তিনি তাঁর উপবাস ভঙ্গ করতে চান। রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হওয়া তাঁর কাছে নবজন্ম পাওয়ার মতোই ব্যাপার। ভূমি পুজোর অনুষ্ঠান মিটলে তিনি অযোধ্যায় যাবেন। সরযূ নদীতে ডুব দেওয়ার পরই উপবাস ভঙ্গ করবেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাঁর সংকল্প পূরণ হতে চলেছে। ভূমি পুজো হয়ে গেলে এই ভাল কাজে অংশ নিতে পরিজনরাও উর্মিলাদেবীর সঙ্গে অযোধ্যায় যাবেন। এদিকে উর্মিলা দেবীর উপবাসের খবর পৌঁছেছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের কানে। তিনি বলেছেন, “ভগবান রাম কখনওই তাঁর ভক্তদের হতাশ করেন না। সে ত্রেতা যুগের মাতা সাবিত্রী হোক বা আজকের মাতা উর্মিলা। মা তোমায় শ্রদ্ধা। গোটা ভারতবর্ষ তোমায় স্যালুট করছে। জয় শ্রীরাম।”