গত ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জিএসটি সংস্কারের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। জানিয়েছিলেন দিওয়ালির আগে দেশজুড়ে চালু হবে নতুন জিএসটি ব্যবস্থা। তার এই ঘোষণার পরই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বৈঠক করেন মন্ত্রীগোষ্ঠী বা জিওএমের ৬ সদস্যের সঙ্গে। ছিলেন বাংলা, বিহার উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, কেরল, কর্ণাটকের অর্থমন্ত্রীরা। বর্তমানে ৫, ১২, ১৮ ও ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি প্রচলিত রয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে সংস্কারের পর ৫ ও ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি নেবে সরকার।
৪০ শতাংশ কর চাপাতে পারে কেন্দ্র
তবে মদ, সিগারেট, বিলাসবহুল গাড়ি সহ বেশকিছু পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ কর চাপাতে পারে কেন্দ্র। যেসব জিনিসের ব্যবহার কমাতে চায় কেন্দ্র, সেই সময় পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণকে নিরুৎসাহ করতেই এই সমস্ত পণ্যের ওপর জিএসটি বাড়াতেই চাইছে কেন্দ্র সরকার। এদিনের এই বৈঠকে কেন্দ্রের প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেছে মন্ত্রীগোষ্ঠীর সদস্যরা। তবে বাংলার অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন এই বৈঠকে।
#WATCH | Delhi: Regarding Group of Ministers meeting with Union Finance Minister Nirmala Sitharaman, Chandrima Bhattacharya, Finance Minister of West Bengal, says, "There is no issue with accepting pro-people measures, but the central government's presentation does not disclose… pic.twitter.com/DfETxSPoz1
— ANI (@ANI) August 21, 2025
কী বললেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য?
তাঁর মতে, “কেন্দ্রের প্রস্তাব নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই, তবে জিএসটি সংস্কারের ফলে কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজস্ব আদায় কতটা কমবে, কতটা ক্ষতি হবে, সেই নিয়ে কোনও আলোকপাত করা হয়নি। এমনকী সেই ক্ষতির পরিমাণ কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হবে তাও বিবেচনা করা দরকার। ফলে এখন থেকেই ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা দরকার। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হবে না”।