কলকাতা, ৪ অগাস্ট: ঝাড় খণ্ডের তিন বিধায়কের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া নগদ অর্থ (J'khand MLAs' Cash Seizure) সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে সিআইডি-কে বাধা। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বুধবার সকালে দিল্লি ও গুয়াহাটিতে তদন্তের কাজে গিয়ে পুলিশের কাছে বাধা পেয়েছে সিআইডি কর্তাদের দুটি দল। তাঁদের আটও করা হয়। আরও পড়ুন-West Bengal Cabinet Reshuffle: পার্থপর্বে দাঁড়ি টানতে মমতার মন্ত্রিসভায় রদবদল, এলেন ৯ মন্ত্রী
সিআইডি-র এক শীর্ষ কর্তার অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের যে তিন বিধায়কের থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাঁদের ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীর বাড়ি রাজধানীতে। সেখানেই তদন্তে কাজে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হলেন তিন অফিসার। বিষয়টি তৎপরতার সঙ্গে সমাধান করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে পরে দিল্লিতে রওনা হন, একজন আইনি ব়্যাঙ্কের অফিসার ও ২ জন এডিজি।
দিল্লিতে সিআইডি কর্তাদের কাজে পুলিশ যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা বেআইনি বলে দাবি করেছেন রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা। পরে দিল্লি পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, তল্লাশি চালাতে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি-কে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সিআইডি-র একটি দল কলকাতার লালবাজার চত্বরে আগরওয়ালের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক ব্যাঙ্কের পাশবই, নগদ ৩ লাখ টাকা ও ২৫০টি রুপোর কয়েন উদ্ধার করে। ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই উধাও আগরওয়াল।
এই ঘটনায় ঝাড়খণ্ড সরকারের জোট শরিক কমগ্রেস বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে। কংগ্রেসের দাবি, হেমন্ত সোরেনের সরকারকে সরাতেই বিজেপি প্রত্যেকটি মন্ত্রীর আসনের জন্য বিধায়কদের ১০ কোটি টাকার অফার দিয়েছে।
এই ষড়যন্ত্রের মূল কাণ্ডারী হিসেবে অসমের মুখমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রয়েছেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, বিধায়কদের কাছে রাশি রাশি টাকা পাওয়ার নেপথ্যে কংগ্রেসের দায় রয়েছে। সেই দুর্নীতি লুকোতেই কংগ্রেস এসব করছে।