নয়াদিল্লি: দেওয়ালি (Diwali) উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলছিল। সেসময় গার্লস কলেজের গেট ও পাঁচিল টপকে ঢুকে ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কথাবার্তা (sexist sloganeering) ও হেনস্থা (harassment) করার অভিযোগ উঠল একদল ব্যক্তি ও ছাত্রদের  বিরুদ্ধে। ভাইরাল হয়েছে অভিযুক্তদের পাঁচিল ও গেট টপকে কলেজে ঢোকার ভিডিয়োও। ঘটনাটি ঘটেছে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University)  মিরান্ডা হাউস (Miranda House) কলেজে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, যাঁরা গেট ও পাঁচিল টপকে গার্লস কলেজে ঢোকার চেষ্টা করছিল তাদের আটকানো হয়। আর অনুষ্ঠানটিও কোনও ঝামেলা ছাড়াই শেষ হয়।

যদিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছাত্রীরা অনেকেই অভিযোগ করেছেন, গত ১৪ অক্টোবর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত মিরিন্ডা কলেজে দেওয়ালি উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীন একাধিক ব্যক্তি ও ছাত্র কলেজের গেট ও পাঁচিল টপকে অনুষ্ঠানের জায়গায় পৌঁছে যায়। তারপর ছাত্রীদের অশ্লীল কথাবার্তা বলার পাশাপাশি শারিরীকভাবে হেনস্থা করারও চেষ্টা করে। এর ফলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তাঁদের আরও দাবি, ওই ছাত্ররা বেশিরভাগই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামজস কলেজের (Ramjas College) পড়ুয়া। অনুষ্ঠান চলাকালীন তারা গোটা কলেজ ঘুরে স্লোগান দিচ্ছিল, রামজস কা নাড়া হ্যায়, মিরান্ডা পুরা হামারা হ্যায়। তাদের পাশাপাশি এই স্লোগান দিচ্ছিল অন্য ব্যক্তিরাও। এছাড়া আরও অশ্লীল কথাবার্তাও বলছিল।

মিরান্ডা হাউসের এনএসএস (NSS) ইউনিটের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আবেদন করা হয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রদের মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত। না হলে এই ধরনের জঘন্য ঘটনা আরও ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়ার পরেই দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত (suo moto cognizance) হয়ে একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করে মামলা করা হয়েছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের (Delhi Commission for Women) পক্ষ থেকেও পুলিশকে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে।