পার্থ প্রতিম চন্দ্র: বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে এখন জোর চর্চা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে নতুন ভারতের প্রতীক হয়ে দেশকে বদলে দিয়েছে। সাংসদরাই এখন তাদের এলাকায় বন্দে ভারত ট্রেন চেয়ে চিঠি লিখছেন। বন্দে ভারতের ক্রেজ এখানেই। এমন দাবি মোদীর। কিন্তু বিরোধীরা বলছেন, বন্দে ভারত নতুন কিছু নয়। আগেও ভারতে রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু এমন প্রচার কেউ করেননি। এমনকী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি নিয়ে সন্দেহও আছে। সে যাই হোক। এসব বিতর্কের বাইরে গিয়ে দেখে নেওয়া যাক বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাত্রী কত হচ্ছে।
মুম্বইয়ে দুটি বন্দে ভারত উদ্বোধনের আগে পর্যন্ত ভারতে মোট আটটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী যাত্রী হচ্ছে মুম্বই-গান্ধীনগর রুটে। আর সবচেয়ে কম যাত্রী হচ্ছে নাগপুর-বিলাসপুর রুটে। দেশের ৬টা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেই যাত্রী সংখ্যা ১০০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পুরোটা না ভরেই ছুটছে। নিউ দিল্লি-আন্দাউরা, চেন্নাই-মাইসুরু ও নাগপুর-বিলাসপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাত্রী সংখ্যা ৫৫-৮০ শতাংশের মধ্যে থাকছে। আরও পড়ুন-এবার ছুটবে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত, ভাড়া কত, কবে কবে চলবে জানুন
তবে ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বেশ ভাল যাত্রী হচ্ছে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া আসার বন্দে ভারতে ১০৩.৬৭% যাত্রী হচ্ছে। আর হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার সময় হয়েছে ১০২.০১ শতাংশ যাত্রী। ওয়েটিং লিস্ট ধরায় যাত্রী সংখ্যা ১০০ শতাংশের বেশী হিসেব করা হয়েছে। যেখানে সবচেয়ে বেশী যাত্রী হওয়া মুম্বই-গান্ধীনগর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ১২৭.৬৭ শতাংশ ভরে যাচ্ছে। দেশের প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন- দিল্লি-বারণসী এক্সপ্রেসেও ব্যাপক ভিড়। সেই ট্রেনে গড়ে ১২৩ শতাংশ যাত্রী থাকছেন। দিল্লি থেকে বারাণসী যাওয়ার সময় ১২১.৫১ শতাংশ, ও ফিরে আসার সময় ১২৫.৮৯ শতাংশ যাত্রী থাকছেন।
কোন বন্দে ভারত ট্রেনে যাত্রী কত
১) মুম্বই-গান্ধীনগর (১২৭.৬৭%)
২) দিল্লি-বারাণসী ( বারাণসী যাওয়ার সময় ১২১.৫১%, ফেরার সময় ১২৫.৮৯%)
৩) সেকেন্দ্রাবাদ-বিশাখাপত্তনাম (যাওয়ার সময় ১২৪.৫০%, ফেরার সময় ১০৪.৮৯%)
৪) দিল্লি-কাটারা (১০৬.৩৯%, ১০৪.৮৯%)
৫) হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি (নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার সময় ১০২.০১%, ফেরার সময় ১০৩.৬৭%)
৬) নিউ দিল্লি-আন্দাউরা (৭৭.৯২%, ৫৭.১৮%)
৭) চেন্নাই-মাইসুরু (৭৮.১২%, ৬৮.২৬%)
৮) নাগপুর-বিলাসপুর (৫২.৮৬%, ৫৫.২৫%)