দেরাদুন, ১৯ অক্টোবর: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরাখন্ডে (Uttarakhand)। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই উত্তরাখন্ডে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যার মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে নৈনিতালে। বিপর্যয়ের মধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করতে ইতিমধ্যেই বায়ুসেনার চপার পৌঁছে গিয়েছে নৈনিতালে (Nainital)। উধমনগরেও বায়ুসেনরা চপার মোতায়েন করা হয়েছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) জেরে নৈনিতালের রামগড়ের (Ramnagar) অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। রামগড়ে লেমন ট্রি রিসর্টে আটকে পড়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন। রানিখেতের রাস্তায় লেমন ট্রি রিসর্টে উদ্ধার কাজ কীভাবে হবে, সে বিষয়ে চিন্তায় প্রশাসন। উত্তরাখন্ডের ডিজিপি অশোক কুমার জানান, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে জল উপচে পড়তে শুরু করে কোশী নদীতে। ফলে কোশী নদীর জলেই প্লাবিত ওই লেমন ট্রি রিসর্ট। বিভিন্ন রিসর্ট এবং হোটেলের পাশাপাশি নৈনিতালের বহু বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। ফলে প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন সেখানকার বহু মানুষ।
আরও পড়ুন: COVID-19: মহারাষ্ট্রের জেলে ২০ জনের শরীরে কোভিড সংক্রমণ, আতঙ্কে কয়েদিরা
লেমন ট্রি রিসর্টে আটকে পড়েন বহু মানুষ...
Around 100 people were stuck at Lemon Tree Resort (in pics) located at Ramnagar-Ranikhet route. All of them are safe & process to rescue them is on. Water from Kosi River entered the resort after the river overflowed, blocking the route to the resort: Uttarakhand DGP Ashok Kumar pic.twitter.com/2UUmWJaaYR
— ANI (@ANI) October 19, 2021
নৈনিতাল হ্রদের জল উপচে পড়তে শুরু করেছে...
#WATCH | Uttarakhand: Nainital Lake overflows and floods the streets in Nainital & enters building and houses here. The region is receiving incessant heavy rainfall. pic.twitter.com/G2TLfNqo21
— ANI (@ANI) October 19, 2021
গৌলা নদীর ভয়াবহ দৃশ্য...
#WATCH | Uttarakhand:Locals present at a bridge over Gaula River in Haldwani shout to alert a motorcycle rider who was coming towards their side by crossing the bridge that was getting washed away due to rise in water level. Motorcycle rider turned back & returned to his own side pic.twitter.com/Ps4CB72uU9
— ANI (@ANI) October 19, 2021
জল বাড়তে শুরু করায় গৌলা নদীর উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় একটি হাতিকে। যে কোনওভাবে যাতে হাতিটিকে উদ্ধার করা যায়, সে বিষয়ে বন দফতরের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান হালদোয়ানির ডিএফও সন্দীপ কুমার।
এসবের পাশাপাশি মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হতেই রামগড়ে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। ওই বাড়ির নীচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে অনুমান প্রশাসনের।