Dehradun Flash Flood (Photo Credit: X/Screengrab)

Dehradun Cloudburst: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুন। একের পর এক মেঘভাঙা বৃষ্টি ও টানা ভারী বর্ষণে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে তীব্র বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। বিশেষত রাজধানী দেরাদুন ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই বিপর্যয়ে উত্তরাখণ্ডে এখন পর্যন্ত কনপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে দেরাদুনেই ১৩ জন মারা গেছেন। নৈনিতাল ও পিথোরাগড় জেলায় একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। জখম হয়েছেন অন্তত ৩ জন, যাদের চিকিৎসা চলছে।

২৪ ঘণ্টায় ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি

দেরাদুনের সহস্রধারা এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে খুব অল্প সময়ে রেকর্ড বৃষ্টির পর তমসা ও চন্দ্রভাগা নদীর জল ভাসিয়ে নিয়েছে বহু ঘরবাড়ি, সেতু ও রাস্তাঘাট। ঐতিহাসিক তপকেশ্বর মহাদেব মন্দির প্লাবিত হয়েছে, মন্দির প্রাঙ্গণ এখনও জলের তলায় বলে খবর। সহস্রধারা ও তপোবন এলাকায় একাধিক দোকান, হোটেল ও বাড়ি ভেসে গেছে।

দেখুন ভিডিও

দেখুন ভিডিও

দেখুন খবরটি

কী কী ক্ষতি হয়

দেরাদুনের আইটি পার্ক এলাকার বিভিন্ন অফিস বিল্ডিংয়ে জল ঢুকে পড়ায় কর্মীরা আটকা পড়েন। মলদেবতা সেতু (মসৌরি-দেরাদুন রাস্তার ওপর) ও প্রেমনগর সেতু (দেরাদুন-পাঁওটা জাতীয় সড়ক) ভেঙে গিয়েছে। অন্তত ১৫-২০টি গবাদিপশু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে। এখন পর্যন্ত রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও এনডিআরএফ ৯০০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে পৌন্ধার দেবভূমি ইনস্টিটিউটের ২০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। হৃষিকেশের চন্দ্রভাগা নদী, সাহাসপুর ও ঠাকুরপুরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যের সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যেক মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মলদেবতা ও কেসরওয়ালা পরিদর্শন করে দ্রুত ত্রাণ তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আবহাওয়া দফতর (IMD) দেরাদুন, তেহরি গড়ওয়ালসহ একাধিক জেলায় লাল সতর্কবার্তা জারি করেছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি থাকছে।