আলিগড়, ১৮ সেপ্টেম্বর: ঘটনার প্রায় ২৮ বছর পর দুই সৎ কাকার বিরুদ্ধে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আলিগড়ে (Aligarh)। ৩৫ বছর বয়সি ওই মহিলার স্বামী প্রাক্তন সেনা অফিসার। পুলিশকে মহিলা জানিয়েছেন যে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করেছে। তবে, মহিলা দাবি করেছেন যে প্রাথমিকভাবে পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে অস্বীকার করেছিল। সেই কারণে তিনি পুলিশের উপর মহল, জাতীয় মহিলা কমিশন এবং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানান।
অভিযোগ অনুসারে, সাত বছর বয়সে সৎ কাকাদের একজন তাঁকে প্রথম ধর্ষণ করেছিল। তিনি পুরো ঘটনাটি মাকে জানিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর পেটে ব্যথাও হয়েছিল। মা তাঁকে সেই সময় কিছু ওষুধ দিয়েছিলেন ও চুপ থাকতে বলেছিলেন। এরপর মহিলাকে তাঁর দ্বিতীয় সৎ কাকাও ধর্ষণ করে এবং সেটা চলতে থাকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত। মহিলার অভিযোগ যে ১৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে মহিলার বিয়ে হয়। তিনি বলেন, "বিয়ের পরে আমি যখনই আমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে যেতাম, ওরা আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করত। কিন্তু আমি বাধা দিতাম।" আরও পড়ুন: Queen Elizabeth II Funeral: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
মহিলা এখন দুই নাবালিকা মেয়ের মা। তিনি জানিয়েছেন যে মানসিক ট্রমা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে তিনি তাঁর স্বামীকে গোটা ঘটনা জানান। স্বামী পাশে দাঁড়ানোয় ধর্ষকদের শাস্তি দিতে তিনি উঠেপড়ে লাগেন। মহিলা বলেন, এই বছরের ১১ এপ্রিল আমার স্বামী বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আমাকে আমার সৎ বাবার বাড়িতে নিয়ে যান। তিনি যখন আমার সঙ্গে ঘটা অত্যাচারের ঘটনার কথা তুলে ধরেন, তখন তাঁকে মারধর করা হয়। আমার মা অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আমাকে বিশ্বাস করেননি। গত চার মাস ধরে আমরা এফআইআর করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখন আমি আমার স্বামীর সমর্থন পেয়েছি এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করব।"
মহিলা থানার হাউস অফিসার সবিতা দ্বিবেদী বলেন, "মহিলা বিস্তারিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"