ভারী নিম্নচাপের জেরে পুজোর মুখে ভিজছে বাংলা। গাঙ্গেয় বঙ্গে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে ঝেপে বৃষ্টি নেমেছে জেলায় জেলায়। সোমবারেও রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে বৃষ্টি অব্যাহত। তবে বৃষ্টির এই চিত্র একাধিক রাজ্যেই দেখা যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতের (Uttar Pradesh Rain) ফলে গঙ্গা, যমুনা, শারদা এবং ঘাগরা সহ বহু নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এক দিকে বৃষ্টি অন্যদিকে বিপদসীমা ছাপানো নদীর জল, দুইয়ের জেরে ভেসে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। শনিবার থেকে উত্তরপ্রদেশে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুর হয়েছে মিরাটে (Meerut) আবাসন ধসে। শুক্রবার রাতে মিরাটের জাকির নগর এলাকায় ভারী বৃষ্টির জেরে চারতলা পুরনো ভবনটি ভেঙে পড়ে। ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে শিশু-সহ ১০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
এছাড়া রবিবার গোন্ডায় জলে ডুবে এক মহিলা সহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বর্ষায় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ঘটে অঘটন। উমরি বেগমগঞ্জের লোনিয়ানপুরওয়া গ্রামে ঘাগরা নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যায় তিন মহিলা। তাঁদের মধ্যে দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করতে সক্ষম হলেই একজন মহিলাকে বাঁচানো যায়নি।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় শাহজাহানপুরে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই নদীর ধারে ছাগল চড়াতে গিয়ে জলে ডুবে যায় কয়েকজন বালক। তাদের চিৎকারে ছুটে আসেম স্থানীয়রা। কয়েকজনকে নদী থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দুজন ডুবে মারা গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নদীর জলস্তর বিপদসীমা পার করায় নীচু এলাকাগুলো জলের তলায় ডুবেছে। বন্যার মুখে পড়ে রাজ্যের ৫০০-র বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক হাজারের বেশি মানুষ ডুবে যাওয়া ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ শিবিরে।