বহরাইচ, ১৪ অক্টোবরঃ দুর্গাপুজোর বিসর্জনকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাঁধে সংঘর্ষ। মারমুখী দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতির জেরে প্রাণ গিয়েছে বছর ২২-এর এক যুবকের। রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বহরাইচের (Bahraich) মহারাজগঞ্জ বাজারে দুর্গা বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাঝে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। দুর্গা প্রতিমা ভাসানের শোভাযাত্রায় খুনের ঘটনার পর আরও ফুঁসে ওঠা স্থানীয়রা। সোমবার সকাল থেকে এলাকায় আগুন জ্বলতে শুরু করে। বহরাইচের হাসপাতাল, ওষুধের দোকানে, সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাইরে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় যুবকের মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই ক্ষেপে ওঠে গ্রামবাসী। ক্ষিপ্ত জনতা জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন দোকানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। দলবদ্ধ ভাবে হাসপাতালে ঢুরে ভাঙচুর করে। ওষুধের দোকান গুলোতে ভাঙচুর চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় লক্ষাধিক টাকার ওষুধ। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাইকে। পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে যেতে থাকে। উত্তেজিত জনতাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় মহারাজগঞ্জ বাজার এলাকার কাছ দিয়ে ভাসানের জন্যে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ে গান চালানো নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ বাঁধে। হাতাহাতি থেকে ইট পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। পরেই উড়ে আসে গুলি। গুলি বর্ষণের জেরে মৃত্যু হয় রামগোপাল মিশ্র নামের এক যুবকের। তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে এমন বিশৃঙ্খলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। এক্স হ্যান্ডেল থেকে জানান, দুর্গা প্রতিমা ভাসানের শোভাযাত্রায় যারা দাঙ্গা বাঁধাতে চেয়েছে তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। সকলকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে।