প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

প্রাণের চেয়েও প্রিয় আদরের পোষ্য ছিল বিড়াল ছানাটি। ছোট থেকে সন্তান স্নেহে বড় করে তুলেছিলেন তাঁকে। এমন আদরের পোষ্যের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন নিঃসঙ্গ যুবতী। ২ দিন ধরে বিড়ালের দেহ বাড়িতে রেখে দেওয়ার পর মানসিক অবসাদে তৃতীয় দিন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবতী নিজেও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার হাসানপুরে।

জানা গিয়েছে, পূজা নামের ওই যুবতীর বছর আটেক আগে দিল্লির এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। কিন্তু কিছুদিন পরে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। সেই থেকে হাসানপুরে মায়ের সঙ্গে থাকতেন ৩২ বছর বয়সী পূজা। নিজের একাকিত্ব কাটাতে একটি বিড়াল পুষেছিলেন তিনি।  প্রায় ২ বছর পর গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় বিড়ালটির। পূজার মা গাজরা দেবী বিড়ালের দেহ কবর দেওয়ার কথা বললেও সেকথা কানে তোলেননি তিনি। গত দুদিন ধরে পোষ্যের সঙ্গেই থাকেন পূজা। এরপর গত শনিবার দুপুরে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন পূজা। রাত ৮টা নাগাদ গাজরা দেবী পূজাকে ডাকতে গেলে ঘর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। ঘরের দরজা ভাঙার পর দেখা যায় দড়ির ফাঁসে ঝুলছে পূজার দেহ। নিচে পড়ে রয়েছে বিড়ালের মৃতদেহটি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন তিনি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশের দাবি, পোষ্যের মৃত্যুশোকেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবতী।পূজার মায়ের দাবি, বিড়ালের মৃত্যুর পর মৃতদেহ পুঁতে দেওয়ার কথা বললে তা করতে রাজি হয়নি পূজা। মাকে জানিয়েছিল, ও বেঁচে উঠবে। সারাদিন ধরে মৃতদেহের সঙ্গে বসে থাকত ও। তবে বিড়ালের মৃত্যুতে ও যে এমন কাণ্ড করে বসতে পারে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।