চিন্ময়ানন্দের থেকে মোটা অংকের তোলা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ , গ্রেপ্তার উত্তরপ্রদেশের আইনের ছাত্রী
নির্যাতিতা( File image (Photo Credits: ANI))

লখনউ, ২৫ সেপ্টেম্বর: বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের (Swami Chinmayanand) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারিণী তরুণীকে গ্রেপ্তার করল সিট। উত্তরপ্রদেশের ওই আইনের ছাত্রীর বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, তিনি নাকি স্বামী চিন্ময়ানন্দের থেকে ১০ কোটি টাকা আদায় করার (extort money) চেষ্টায় ছিলেন। গতকাল স্থানীয় আদালত চত্বর থেকে ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে গিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। বুধবার নির্যাতিতাকে তাঁর শাহজাহানপুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়। মঙ্গলবারই শাহজাহানপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতা। ২৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার সেই আবাদেনের শুনানি রয়েছে। এরমাঝেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করল বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারির আগে গতকাল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় সিট। তবে জেলা জজ তাঁর গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ দেওয়ায় বুঝবার নির্যাতিতাকে হেফাজতে নিতে পারেনি বিশেষ তদন্তকারী দল। কিন্তু রাত পোহাতে না পোহাতেই নির্যাতিতাকে গ্রেপ্তার করল সিট। এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি ওপি সিং জানান, ধর্ষণের অভিযোগে জেল খাটছেন চিন্ময়ানন্দ। সেই চিন্ময়ানন্দের থেকেই জোর করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছেন নির্যাতিতা। সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বুধবার নির্যাতিতার গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ দিলেও আদালত কিন্তু বাকি তিন যুবক শচিন, সঞ্জয় ও বিক্রমকে নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্চ না করায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ, এই চারজনে মিলে নাকি চিন্মানন্দকে ফোন করে টাকার প্রসঙ্গ তোলেন। বলা হয়েছিল, পাঁচ কোটি বা তার থেকে বেশি টাকা পেলে চিন্ময়ানন্দের অন্তরঙ্গ ভিডিও প্রকাশ্যে আসবে না। আরও পড়ুন-Chinmayanand Rape Case:ধর্ষণের অভিযোগে জেলবন্দি বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ, অন্যদিকে নির্যাতিতাকেই আটক করল পুলিশ

উল্লেখ্য, আইনের ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ, তাঁকে দিয়ে বডি মাসাজ ও ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগে গত ২০ সেপ্টেম্বর নিজের বাসভবন দিব্য ধাম থেকে গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ। বিশেষ তদন্তকারী দল ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যৌথভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় যৌন হেনস্তা, ধর্ষণের অভিযোগ মেনে নেন চিন্ময়ানন্দ। এরপর আদালতের নির্দেশে চিন্ময়ানন্দের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।