নতুন দিল্লি, ৩০ মে: কন্টেনমেন্ট জোনে ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ। শর্তসাপেক্ষে খুলবে ধর্মীয়স্থান। ৩০ জুনের মধ্যে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এর বাইরে রাখা হচ্ছে কনটেনমেন্ট জোনকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি সব এলাকায় তিন ধাপে খুলে দেওয়া হবে সব কিছু। খুলবে হোটেল, শপিং মল, রেস্তঁরা। রাজ্যের অনুমতি পেলে তবেই খুলবে স্কুল, কলেজ, ও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। ৮ জুন থেকে দেশের সমস্ত ধর্মস্থান খুলবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে:
প্রথম ধাপ:
- ৮ জুন থেকে ধর্মীয় উপাসনা স্থান, হোটেল, রেস্তরাঁ এবং অন্যান্য আতিথেয়তা পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হবে
- ৮ জুন থেকে শপিংমলগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হবে
দ্বিতীয় ধাপ:
- স্কুল, কলেজ সহ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে পরামর্শের পরে খোলা হবে
- জুলাই থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার বিষয়ে অভিভাবক এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করবে রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি
- নাইট কারফিউ সময় সংশোধন, এখন সারা দেশে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলাচল নিষিদ্ধ
তৃতীয় ধাপ:
- পরিস্থিতি মূল্যায়নের পরে আন্তর্জাতিক বিমান, মেট্রো ট্রেন, সিনেমা হল, জিম, রাজনৈতিক সমাবেশ পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত
- জেলা কর্তৃপক্ষের তরফে নির্ধারিত কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন ৩০ জুন অবধি কার্যকর থাকবে
- রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে বাফার জোনগুলি সনাক্ত করতে হবে, যেখানে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
- বাফার জোনের মধ্যে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ জেলা কর্তৃপক্ষ চাপাতে পারে
- পরিস্থিতির ভিত্তিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি কনটেনমন্ট জোনের বাইরে কয়েকটি নির্দিষ্ট কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করতে পারে বা সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে পারে
- আন্তঃরাজ্য যান চলাচলে কোনও বাধা নেই। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়ার জন্য পৃথক অনুমতির প্রয়োজন নেই। তবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে কঠোর ভাবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।