
Hyperloop: হাইপারলুপ পরিবহণ ব্যবস্থা চালুর দিকে এগিয়ে চলেছে দেশ। রবিবার চেন্নাইয়ে হাইপারলুপ টেস্টিং ফেসিলিটি-তে গেলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি তথা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। টেকনোলজি অফ মাদ্রাস (IIT Madras)-এ হাইপারলুপ টিউব তৈরির কাজ ও গবেষণা চলছে। সেই কাজ দেখে দারুণ খুশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এখানেই তৈরি হচ্ছে ৪১০ মিটার লম্বা হাইপার টিউব। যা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় হাইপার টিউব। ঘণ্টায় ১,২২০ কিলোমিটার দূরত্ব যাওয়া যেতে পারে হাইপারলুপের মাধ্যমে। তার মানে এক ঘণ্টারও কম সময়ে কলকাতা থেকে দিল্লি যাতায়াত করা সম্ভব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি, হাইপারলুপের গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থা দেশীয় প্রযুক্তিতে করা হয়েছে। হাইপারলুপ সংক্রান্ত যাবতীয় ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি বা আইসিএফ-এ তৈরি করা হতে চলেছে।
দেশে কবে থেকে হাইপারলুপ পরিবহণ চালু হবে!
ভারত খুব দ্রুত হাইপারলুপ পরিবহণের জন্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশায় অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত যে পরীক্ষা হয়েছে, তাতে ফলাফল ইতিবাচক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে দীর্ঘ দূরত্বের যাতায়াতকে কয়েক ঘণ্টা থেকে মিনিটে নামিয়ে আনতে পারে, যা পরিবহন খাতে আমূল পরিবর্তন আনবে।
হাইপারলু প্রযুক্তি খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Union Minister @AshwiniVaishnaw visited the Hyperloop testing facility at @iitmadras and said that the Hyperloop tube, being developed with the help of the Indian Institute of Technology Madras, will soon be the world's longest tube, measuring 410 meters in length. pic.twitter.com/GjJ67AcKbT
— All India Radio News (@airnewsalerts) March 16, 2025
হাইপারলুপ: ভবিষ্যতের অতি-উচ্চ-গতির পরিবহন ব্যবস্থা
হাইপারলুপ হল অত্যাধুনিক এমন এক পরিবহন প্রযুক্তি, যা যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনের জন্য অতি-উচ্চ গতি প্রদান করে। এই ব্যবস্থায় কম-চাপের টিউবের মধ্যে চৌম্বকীয় লেভিটেশন (ম্যাগলেভ) বা এয়ার কুশনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা পডগুলিকে অসাধারণ গতিতে চলতে সক্ষম করে। এই পডগুলি, যেগুলিতে যাত্রী বা পণ্যসম্ভার বহন করা হয়, আংশিকভাবে বায়ুশূন্য টিউবের ভেতর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে চলে, ঐতিহ্যবাহী পরিবহন ব্যবস্থার তুলনায় অনেক বেশি দ্রুততা প্রদান করে।
হাইপারলুপের মূল সুবিধা হল এর গতি এবং দক্ষতা। কম-চাপের পরিবেশে বায়ু প্রতিরোধ কমে যাওয়ায় এবং ম্যাগলেভ বা এয়ার কুশনিংয়ের মাধ্যমে ঘর্ষণ হ্রাস পাওয়ায়, এটি ট্রেন, গাড়ি বা এমনকি বিমানের চেয়েও দ্রুতগতির বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে।