প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI)

শ্রীনগর, ১ জানুয়ারি: বছরের প্রথম দিনেই রক্তাক্ত নিয়্ন্ত্রণরেখা। রাজৌরিতে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে শহিদ হলেন দুই জওয়ান (Two Indian Army jawans)। রাজৌরির নওসেরা সেক্টরের কালাল এলাকায় গুলির লড়াই শুরু হয় বুধবার ভোর রাত থেকে। সেনা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে খারি থারায়াত জঙ্গল হয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল অনুপ্রবেশকারীরা। জওয়ানরা তাদের বাধা দিতে গেলেই দু’পক্ষের গুলি বিনিময় শুরু হয়ে যায়। অনুপ্রবেশকারীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে প্রাণ যায় দুই সেনা জওয়ানের। গুলির লড়াই এখনও চলছে বলেই সেনা সূত্রে খবর। ভারতীয় বাহিনীর প্রতি আক্রমণে পিছু হটছে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীরা। সীমান্তে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়েই বুধবার নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তল্লাশি অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা।

এর কয়েকদিন আগে জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাগুলি বর্ষণে এক সেনাজওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। পাক সেনা জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বারামুল্লার উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রবল গুলিবর্ষণ করে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি পোস্টের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী গ্রামকেও টার্গেট করে গোলা বর্ষণ করে। পাক বাহিনীর ভারী গোলাগুলির উপযুক্ত পালটা জবাব দেওয়ার সময় একজন সেনাকর্মী শহিদ হন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট আগেই জানিয়েছিল, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট লস্কর, জইশের জঙ্গিরা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ফিদাঁয়ে জঙ্গি তৈরির প্রশিক্ষণও চলছে। রাজৌরির নওসেরা সেক্টরে জঙ্গিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে বলে আগেই খবর দিয়েছিল গোয়েন্দা সূত্র। বলা হয়েছিল, আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নওসেরা সেক্টরের কাছাকাছি ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। সেই মতো এদিন ভোর রাতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গেলেই সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। আরও পড়ুন-AAP Government Renames Pragati Maidan Metro Station: দিল্লির প্রগতী ময়দান মেট্রো স্টেশনের নাম বদলে হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট মেট্রো স্টেশন,কেন জানেন?

শোনা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে কাশ্মীরে প্রায় ৩০০ ও জম্মুতে অন্তত ২০ জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েই পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। সন্ত্রাস ও নাশকতার লড়াই বন্ধ না করলে আগামী দিনে ভারত যে আবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো কঠোর প্রত্যাঘাতের পথ বেছে নেবে সেটাও স্পষ্ট করেছিলেন তিনি। সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, ফের রক্ত ঝড়ল উপত্যকায়।