অবশেষে নিজেদের গড় পুনরুদ্ধার করতে চলেছে কংগ্রেস। হারানো আমেঠি কেন্দ্রকে যিনি ফের গান্ধী পরিবারের হাতে দায়িত্ব নিয়ে তুলে দিলেন, তিনি হলেন রাজীব ঘনিষ্ঠ কিশোরী লাল শর্মা (Kishori Lal Sharma)। ২০১৯-এ এই আসনে রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে জিতেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আর তারপর এবারের নির্বাচনে দীর্ঘ টালবাহানার পর আমেঠি থেকে রাহুলের বদলে প্রার্থী করানো হয়েছিল কিশোরী লাল শর্মাকে। প্রথম থেকেই বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতাকে প্রার্থী করানো নিয়ে হাসিঠাট্টা করছিল স্মৃতি। বলা বাহুল্য, আন্ডারডগ থেকে মাস্টার স্ট্রোক খেললেন কে.এল শর্মা।

এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। বলা বাহুল্য, এখনও অবধি একটি রাউন্ডেও পিছিয়ে পড়েননি কিশোরী লাল শর্মা। আর সেই কারণে কার্যত বিপুল সংখ্যক ভোটে স্মৃতিকে হারিয়ে জিততে চলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে রাজীব গান্ধীর বিশ্বস্ত সঙ্গী কিশোরী লাল শর্মা বলেন, এই জয় গান্ধী পরিবার ও আমেঠিবাসীর। তবে এখনও ফলপ্রকাশ হয়নি। সেই কারণেই এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। রাহুল, প্রিয়ঙ্কা এবং খাড়গেজি আমার ওপর বিশ্বাস করে টিকিট দিয়েছে, এরজন্য সকলকে ধন্যবাদ।

শুধু আমেঠি নয়, অন্যদিকে রায়বারেলিও কেন্দ্রও ফের দখলে রাখতে পেরেছে গান্ধী পরিবার। কার্যত এই কেন্দ্রে প্রায় ৪ লক্ষ ভোটে জয়ী হতে হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি গোটা উত্তর প্রদেশ ধীরে ধীরেে বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। একাধিক আসনে জয় পেতে চলেছে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা।