হাথরসে সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। এই ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় স্থানীয় মানুষরা স্ব-ঘোষিত গুরু ভোলেবাবা গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। তাঁর পোস্টার দেখে ইটবৃষ্টি শুরু করে উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। অন্যদিকে বুধবার সকালে আহতদের দেখতে হাসপতালে যান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের সাথে। এছা়ড়া পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গঠিত করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল।

এদিন বেলা গড়াতেই হাথরসের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমি এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করি। নির্দেশ দিই এই ঘটনায় যে বা যাঁরা জড়িত রয়েছে, তদন্ত করে যার নামই সামনে আসুক না কেন, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এই ঘটনার পর কোনও অনুনয়, বিনয় কাজে দেবে না। দোষী গ্রেফতার করাই পুলিশে একমাত্র লক্ষ্য। এটি বিচার বিভাগীয় কমিটির দ্বারা তদন্ত হবে। যার নেতৃত্বে থাকবেন হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, থাকবেন বেশ কয়েকজন পুলিশ প্রশাসনের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।

হাথরসের ঘটনা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে এর থেকেও বড় বড় অনুষ্ঠান করা হয়। যেখানে এর থেকেও অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ যোগ দেন। কিন্তু কখনই এরকম ভয়াবহ ঘটনা ঘটেনি। এই ধরণের অনুষ্ঠান করার আগে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার জন্য বাহিনীর আবেদন করতে হয়। কিন্তু ওরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন। যার ফলেই ঘটনাটি এরকম ভয়াবহ হয়।