JNU Protest: জেএনইউ-র আন্দোলনরত ১৫০ পড়ুায়াকে গ্রেপ্তার,  সহযোদ্ধাদের মুক্তির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে ছাত্রছাত্রীরা
গণবিক্ষোভে জেএনইউ (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৮ নভেম্বর: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) ফের বাড়ল হোস্টেল ফি। আর এর প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীদের মিছিল চলল রাইসিনা হিলস মুখী। প্রমাদ গুনল পুলিশ। আগেভাগেই বন্ধ করে দেওয়া হল দিল্লি মেট্রোর চার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন লোক কল্যাণ, উদ্যোগ ভবন, প্যাটেল চক, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট। আজ ২০ দিন ধরে হোস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছে জেএনইউ-র পড়ুয়ারা। একারণে সমাবর্তনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খানিকটা বিপাকে পড়লেও হোস্টেল ফি কমানো নিয়ে নরম হতে নারাজ। আন্দোলনরত পড়ুয়ারাও দাবি আদায় না করে মাটি ছাড়বে না। রবিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদীশ কুমার ভিডিও বার্তার আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্লাসে ফেরার আবেদন করলেও লাভ কিছু হয়নি।

সোমবার সেই ছাত্র আন্দোলন দেখে ভয় পেয়ে গেল দিল্লির পুলিশ প্রশাসন। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের আটকাতে রাজধানীর চার ব্যস্ততম মেট্রো স্টেশনে বসল পাহারা। আন্দোলনের রাশ নিজের হাতে নিতে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল দিল্লির পুলিশ প্রশাসনকে। এদিন ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল হাঁটতে শুরু করে সংসদ ভবনের দিকে। মাঝপথেই সেই মিছিল আটকে দিল পুলিশ। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ছাত্র বিক্ষোভ যে বড় আকার নিতে পারে তা আগেই আন্দাজ করেছিল দিল্লি পুলিশ। ফলে প্রশাসন তৎপরই ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মিছিল শুরু হয়ে কিছু দূর এগোনোর পরই ব্যারিকেড করে তা আটকে দেয় পুলিশ। ওখানেই অবস্থানে বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এরপর বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার গ্রেপ্তার করা হল ছাত্রসংসদের নির্বাচিত সভানেত্রী তথা দুর্গাপুরের ভূমিকন্যা ঐশী ঘোষ-সহ প্রায় ১৫০ আন্দোলনকারীকে। ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওকলা, কালকাজি স্টেশন ও দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট থানায়। আরও পড়ুন-Delhi Air Pollution: আর জোড়-বিজোড় নীতির দরকার নেই রাজধানীর আকাশ এখন ঝকঝকে, সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন কেজরিওয়াল

এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রছাত্রীদের মুক্তির দাবিতে দিল্লির জোরবাগ মেট্রো স্টেশনের সামনে ধরনায় বসে পড়েছেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। এদিকে জেএনইউ-র অচালাবস্থা কাটাতে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। তবে আজকের গণগ্রেপ্তারির পর সেই ছবি কবে বদলাবে জানে না কেউ।