Rahul Gandhi. (File Photo)

Rahul Gandhi: দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ভোটার তালিকায় বেশ কিছু জায়গায় গরমিল আছে, নির্বাচন কমিশন দেশের ভোট ব্যবস্থাকে ঠিকমত পরিচালনা করছে না তা ভিডিও দেখিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা। রাহুল নির্বাচন কমিশন (ECI) এবং বিজেপির বিরুদ্ধে গোপন আঁতাতে ভোটার তালিকায় গরমিলের মাধ্যমে নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছেন। যদিও দেশের বিরোধী দলনবেতার দাবিকে কমিশন উড়িয়ে দিলেও, বিরোধীরা ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে। আজ, সোমবার নির্বাচন কমিশনারের অফিসে যাওয়া নিয়ে ইন্ডিয়া সহ দেশের বিরোধী শিবিরের সাংসদদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তধস্তি হয়। রাহুলের অভিযোগ কমিশন 'ভোট চুরি' করছে। এই ইস্যু নিয়ে রাহুল এদিন এক্স প্ল্যাটফর্মে দাবি করলেন, 'ভোট চুরি'-র বিরুদ্ধে তাদের আয়োজন নিয়ে তাদের প্রচার এখন জনতার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

'ভোট চুরি' আন্দোলনের সমর্থনে ওয়েবসাইট, ফোন কল শুরু কংগ্রেসের

গত ২৪ ঘণ্টায় http://votechori.in/ecdemand তাদের তৈরি ওয়েবসাইট থেকে ১৫ লক্ষাধিক সমর্থন শংসাপত্র বা সাপোর্ট সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা হয়েছে। তাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ১০ লক্ষাধিক মিসড কল করা হয়েছে। এই নিয়ে রাহুল দাবি করেন, " আজ ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রকৃত ছবি উঠে আসছে। সত্যির কণ্ঠস্বর দমন করা হলেও, তা আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে শক্তিশালীভাবে উঠে আসছে।"দেশের ভোট নিয়ে প্রতিটা অনিয়ম জানানোর জন্য আবেদন করে রাহুল 9650003420 নম্বরে মিসড কল ও http://votechori.in/ecdemand ওয়েবসাইটে ভিজিট করার দাবি জানান।" শেষে রাহুল লেখেন, "আপনার সমর্থন মজবুত রাখুন এবং এই বার্তা সব জায়গায় ছড়িয়ে দিন। আসুন, আমরা একসঙ্গে গণতন্ত্র রক্ষা করি। রায়বারেলির সাংসদ ভোটের কারচুপিকে ভারতীয় সংবিধান এবং জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে “অপরাধ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

দেখুন কী বললেন রাহুল গান্ধী

ভোট চুরির অভিযোগ করা রাহুলের এই ইস্যুতে মূল দাবিগুলি কী কী

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতার দাবি পাঁচটি উপায়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি হয়েছে: (১) ডুপ্লিকেট ভোটার, (২) জাল বা অবৈধ ঠিকানা, (৩) এক ঠিকানায় গণ নিবন্ধন, (৪) অবৈধ ছবি, এবং (৫) ফর্ম ৬-এর অপব্যবহার। রাহুলের অভিযোগ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৩ হাজার ভোটের কম ব্যবধানে ২৫টি আসন জিতেছে, যা ক্ষমতায় থাকার জন্য যথেষ্ট ছিল। আর সেখানে বড় গরমিল ছিল। ৪০,০০৯ জন ভোটারের ঠিকানা জাল বা অবৈধ বলে দাবি করা হয়েছে, যেমন “হাউস নং ০” বা অস্তিত্বহীন ঠিকানা।