PM Modi: জঙ্গি হামলা থেকে বাঁচতে গ্রামরক্ষীদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র তুলে দিন মোদি, চাইছেন রাজৌরির শিক্ষিকা
ফাইল ফটো (Photo Credit: Instagram)

রাজৌরি: রাজৌরির (Rajouri) সাধারণ মানুষের উপর জঙ্গি হামলা (Terror attacks) পর একমাসও কাটেনি। এখনও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) কাছে গ্রামরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের (village defence guards) হাতে আত্মরক্ষার (Self-protection) জন্য অত্যাধুনিক অটোমেটিক আগ্নেয়াস্ত্র (automatic weapons) তুলে দেওয়ার আবেদন জানালেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) এক শিক্ষিকা (teacher)।

রাজৌরির প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা ওই শিক্ষিকা সুনীতা ঠাকুরের (Sunita Thakur) বাড়িতেও জঙ্গি হামলা হয়েছে। ২০০২ সালে তাঁদের বাড়িতে জঙ্গি হামলার ফলে মৃত্যু হয় সুনীতাদেবীর বাবার।

শুক্রবার সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI)-কে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ওই শিক্ষিকা বলেন, "এই এলাকায় বেশিরভাগ মানুষের কাছেই আত্মরক্ষার জন্য কোনও অস্ত্র নেই। এই পরিস্থিতিতে গ্রামরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের হাতে আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র তুলে দিতে হবে। যাতে এলাকায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করতে তাঁরাও পুলিশকে সাহায্য করতে পারেন।"

জঙ্গি হামলায় বাবার মৃত্যুর পর থেকে প্রশাসনের তরফে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয় ওই শিক্ষিকাকে। সেই কথা উল্লেখ করে তিনি যে এলাকায় বসবাস করেন সেখানে আরও পুলিশকর্মীকে নিযুক্ত করার আবেদন জানান।

এপ্রসঙ্গে সুনীতাদেবী বলেন, "আমার বাবাকে ২০০২ সালে খুন করা হয়। তারপর গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এখন আবার সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে মানুষের কাছেও অস্ত্র নেই। পুলিশ আমাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু, বর্তমানে এখানে মাত্র ৩-৪ জন পুলিশকর্মী রয়েছেন। আমরা আরও নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানোর আবেদন করছি। গ্রামরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের যাঁদের কাছে অস্ত্র আছে তাঁদের হাতেও উন্নত অস্ত্র তুলে দিতে হবে। যাতে তাঁরা পুলিশকে সাহায্য করতে পারে। রাজৌরি থেকে আমাদের দুটি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমি বলতে চাই যে আমরা নিরস্ত্র অবস্থায় মরতে চাই না।"

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলতে চাই যে আমিও এই দেশের একটি মেয়ে। আপনি দেশের মেয়েদের জীবন আরও উন্নত করার জন্য কাজ করছেন। আজকে আমরা নিরস্ত্র অবস্থায় রয়েছি। আমাদের আত্মরক্ষার জন্য প্রশাসনের তরফে কোনও অস্ত্র দেওয়া হয়নি। আমরা চাই আমাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হোক।"