আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এই মুহূর্তে জেলবন্দি রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী আলমগীর আলম। তবে ইতিমধ্যেই জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। পাশাপাশি শনিবার এই মামলার শুনানিতে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতাসহ ৯ জন ১৪ দিনের জেল হেফাজত রাখার নির্দেশ দিল আদালত। এই মামলার আগামী শুনানির দিন ২৯ জুন। গত মাসের ১৫ তারিখ ইডি আধিকারিকরা গ্রেফতার করেছিলেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতাকে। জেলে থেকে মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা সহ দলীয় বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করেন আলমগীর। যদিও তিনি এখনও দাবি করছেন যে তিনি নির্দোষ।

এদিকে এই মামলায় আলমগীর ছাড়াও গ্রেফতার হন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লাল ও তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গীর আলম। জানা যায়, এই পরিচারকের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে নগদ ৩৫ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্জীবের বাড়ি থেকেও উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণের অর্থ। এরপরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় প্রাক্তন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে। আর তারপরেই টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় আলমগীরকে। গ্রেফতারির সময় তিনি বলেছিলেন তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনা প্রথম সামনে এসেছিল মন্ত্রীর দফতরের এক ইঞ্জিনিয়রকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, তিনি একটি টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি করেছিলেন। তখন তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে উঠে আসে সঞ্জীবের নাম। এই মুহূর্তে এই ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্ত এখন চালিয়ে যাচ্ছে ইডি।