সাগর, ২৯ মার্চ: করোনার (COVID-19) কারণে গত এক বছর ধরে বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনার দাপট খানিকটা কমলে কিছু জায়গায় বিদ্যালয় খোলা হয় একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য। তবে এখনও অবহেলায় প্রাথমিক শ্রেণীর পড়ুয়ারা। এরফলে ক্ষতির মুখে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ। এ সমস্ত দিক বিবেচনা করে স্কুটারে মিনি-স্কুল তৈরি করে নজির করলেন মধ্যপ্রদেশের সাগরের এক সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা চন্দ্রা শ্রীবাস্তব।
গত এক বছর ধরে বন্ধ তাঁর বিদ্যালয়। করোনার দাপট যে হারে বাড়ছে, তাতে কবে স্কুলগুলি খুলবে তা এখনও অনিশ্চিত। প্রত্যন্ত গ্রামে অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশুনা এখনও স্বপ্নের মতো। তা বলে বাচ্চাদের পড়াশুনা তো এভাবে থেমে থাকতে পারে না। তাই নিজের স্কুটারকে মিনি স্কুল বানিয়ে গাছের তলাতেই ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়াশুনা করাচ্ছেন তিনি। তাঁর স্কুটারের মিনি-স্কুলে আছে একটি বোর্ড, চক, ডাস্টার আর লাইব্রেরি। মাইক নিয়ে গাছের তলাতেই চলছে পঠন পাঠন। তাঁর এলাকার প্রান্তিক বাচ্চাগুলোকে পড়াশুনার সুযোগ করে দিতেই স্কুটারেই তৈরি করেছেন লাইব্রেরি। ছড়া, গল্প পঠন পাঠনের সমস্ত বই সরবরাহ করছেন তিনি। আরও পড়ুন, ভারতে করোনার কাঁটা, নতুন সংক্রামিত ৬৮ হাজার ২০ জন
শিক্ষিকার এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা। এই প্রান্তিক মানুষগুলির কাছে না আছে স্মার্ট ফোন, না আছে ইন্টারনেট কানেকশন। তাই তাঁদের সন্তানদের দায়িত্ব নিয়ে সিক্কিকার পড়ানোর উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। শুধু ছোট ছোট পড়ুয়াই নন। তাঁর কাছে পড়তে আসছে পঞ্চম, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরাও।