বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে ভোটপ্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। ফলে হাতে মাত্র কয়েকমাস সময়। পুজোর মধ্যে এসআইআরের (SIR) কাজ সেভাবে হয়নি। ফলে আাগামী মাস থেকেই রাজ্যে জোড়কদমে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ পুরোদমে শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে এই এসআইআর নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধীতা করে আসছে রাজ্যের শাসক দল ও সিপিএম, কংগ্রেস। একমাত্র বিজেপি এই এসআইআরের পক্ষে সুর চড়িয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এসআইআর হলে বাংলা্দেশি অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করা যাবে।
অনুপ্রবেশকারীদের আক্রমণ শুভেন্দুর
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “এসআইআর নিয়ে অনেকেই বিরোধীতা করছেন। কিন্তু এটা কোনও নতুন কিছু নয়। আগেও বহুবার হয়েছে। ২০০২ সালেই দেশে এসআইআর হয়েছিল। সেই সময় বৈধ কারণে ২৬ লক্ষ নাম কাটা গিয়েছে। সেই এসআইআর-ই এবার বাংলায় হবে। কয়েকদিন আগে বিহারে হয়েছে। ৪টি কারণে নাম বাদ যাবে। এক, যাঁরা মারা গিয়েছেন। দ্বিতীয়, যাঁদের একাধিক তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে। তৃতীয়, ভুয়ো ভোটার এবং চতুর্থ, যাঁরা ভারতীয় নাগরিক নন, অর্থাৎ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের নাম বাদ যাবে”।
দেখুন শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য
Kolkata, West Bengal: LoP in state Assembly Suvendu Adhikari says, "...This SIR process is not new. It was carried out earlier in Bengal as well as in other parts of the country in 2002. This time, 26 lakh names were deleted for valid reasons. In West Bengal, a similar SIR… pic.twitter.com/JQH4FBRF7s
— IANS (@ians_india) October 26, 2025
বহিরাগত ইস্যুতে সরব তৃণমূল
শুভেন্দুর মতোই একই সুর শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের গলায়। সকলেই এসআইআর হওয়ার পক্ষেই মন্তব্য করছে। বিজেপি নেতৃত্বের ধারনা, এসআইআরের মাধ্যমে এই রাজ্যে সাড়ে ৩ থেকে ৪ লক্ষ নাম বাদ যেতে চলেছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, অবৈধভাবে এসআইআর করে বহিরাগত ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে দিতে পারে বিজেপি। সেক্ষেত্রে প্রভাবিত হবে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।