Anti CAA Protest in Hyderabad: জামিয়ায় পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জের প্রতিবাদে পরীক্ষা বয়কটে হায়দরাবাদ মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়
হায়দরাবাদ মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু বিশ্ববিদ্যালয় (Picture Credits: Facebook)

হায়দরাবাদ, ১৬ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের (CAA) প্রতিবাদকে (Protest) কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Jamia Millia Islamia University)। এর আঁচ এসে পড়ল হায়দরাবাদ মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে (Maulana Azad National Urdu University)।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ সমস্ত পরীক্ষা (Exams) বাতিল (Boycott) করার ডাক দেয়। গতকাল জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ এসে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। আহত হন বহু পড়ুয়া। অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালের ক্যাম্পাসে লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ুয়াদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। শেষপর্যন্ত হাত উঁচু করে ক্যাম্পাস থেকে পড়ুয়াদের বের করে আনে পুলিশ। আটক করা হয় কমপক্ষে ১০০ পড়ুয়াকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে হায়দরাবাদ মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ পরীক্ষা নিয়ামকের কাছে পরীক্ষা বাতিল করার কথা জানায়। বিশ্ববিদ্যালয় যাতে পরীক্ষা স্থগিত রাখে তার আর্জি করা হয়।

পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আতঙ্কে ছাত্রছাত্রী। গতকাল পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন বহু ছাত্র (Students)। তারা হাসপাতালে ভর্তি। কারও কারও অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় আইসিইউতে (ICU) ভর্তি করা হয়। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দাবি, পুলিশ পিছনের দরজা দিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে মারতে শুরু করে, টিয়ার গ্যাসেরও ব্যবহার করা হয়। ছাত্রদের তরফ থেকে জানানো হয় তারা পুলিশের ওপর কোনোরকম হামলা চালানো হয়নি, তবুও পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। যদিও পুলিশের দাবি যে বিক্ষোভকারীরাই তাদের উদ্দেশ্য করে ইট ছোঁড়ে৷ আরও পড়ুন, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় পুলিশি লাঠিচার্জে উত্তপ্ত রাজধানী, সংশ্লিষ্ট এলাকার সমস্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিল দিল্লি সরকার

গত পরশু জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে রবিবার প্রতিবাদ চালাবেন ছাত্রছাত্রীরা৷ সেই মতো দিনভর চলে বিক্ষোভ কর্মসূচী৷ যাতে যোগ দেন প্রায় ২হাজার পড়ুয়া৷ সেই মিছিল আটকায় পুলিশ৷ সেই থেকেই শুরু হয় গোলমাল৷ কর্মসূচী থামাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পড়ুয়াদের৷ ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ৷ পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢোকার পর পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় বলে অভিযোগ। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি সেমিস্টারের বাতিল হওয়া পরীক্ষা (Examination) কবে হবে সেই নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।