নতুন দিল্লি, ১৯ মে: কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে শ্রমিক ট্রেন চালানো নিয়ে চলছিল চাপানউতোর। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলিতে (Shramik Special Train) পরিযায়ী কর্মীদের গন্তব্যে পাঠানোর জন্য যে নিয়মগুলি এখনও অবধি অনুসরণ করা হচ্ছে তা মেনে চলেছে রাজ্যগুলি। তবে এই ট্রেন চালানো নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক। শ্রমিক ট্রেন চলাচলের জন্য আর রাজ্যের সম্মতি গ্রহণের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে রেল। গত ১ মে থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে এই ট্রেনগুলি চালানো শুরু হয়। তাই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকলে যে যার নিজের রাজ্যে শ্রমিকরা চলে যাচ্ছিল।
তবে, বাংলার মতো কয়েকটি রাজ্য ট্রেন আসতে দিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে কেন্দ্র। তবে বিরোধীরা জানিয়েছে, কেন্দ্রের দাবিগুলি অযৌক্তিক। কারণ তারা শুরু থেকে লক্ষ লক্ষ আটকে পড়া শ্রমিককে ঘরে ফেরাতে কোনও আগ্রহ দেখায়নি। ঔরঙ্গাবাদে কয়েকজন শ্রমিক রেল লাইনে কাটা পড়ার পর কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আমফান আসার কারণে আগামী দু'দিন ট্রেন আসবে না বাংলায়। আরও পড়ুন, 'মরার ওপর খাঁড়ার ঘা', প্রবল দুর্যোগে বুধবার কাউকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
রাজ্যগুলিতে ট্রেন পাঠাতে কেন্দ্র থেকে রাজ্যের অনুমতি নিয়ে বহুদিন চাপানউতোর চলছিলই। এর মধ্যে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে এই বিষয়ে দ্বন্দ্ব হয় অমিত শাহর। তিনি দাবি করেন, মমতা ব্যানার্জি শ্রমিকদের ফেরাতে ট্রেন পাঠানোর আবেদন গ্রহণ করছেন না। এর পাল্টা জবাব দিয়ে মমতা ব্যানার্জি জানান রাজ্য থেকে ট্রেন যাচ্ছে, তাদের ফেরানোও হচ্ছে। এর আগে ১০০ টি ট্রেন চলছিল। আরও ১২০ টি ট্রেন চালানোর আবেদন করেন মমতা ব্যানার্জি। এরপরই আজ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় রেল মন্ত্রক।