আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন জেডিএস সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না (Prajwal Revanna)। শনিবার তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বেঙ্গালুরুর আদালত। সাজা কমানোর জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি। তবে তাতেও সাজা শোনাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেননি বিচারপতি। তবে এক বছরের মধ্যে এই মামলায় মূল অভিযুক্তকে সাজা শোনানোর পেছনে যাঁদের অবদান সবথেকে বেশি, তাঁরা হলেন বেঙ্গালুরু পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন পুলিশ সুপার সুমন পেদনেকার।
কী বললেন সুমন পেদনেকার?
সাজা ঘোষণা হওয়ার পর এই ঘটনা নিয়ে তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, এই হাই-প্রোফাইল কেসের তদন্তে নেমে ওপরমহল থেকে সেভাবে চাপ আসেনি। আমরা সেই কারণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তদন্ত করতে পেরেছি। এমনকী তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়েও আমরা সেভাবে বাধার সম্মুখীন হইনি। আমরা নির্যাতিতাদের বক্তব্য সংগ্রহ করা থেকে, তাঁদের দাবি সমর্থন করার জন্য সেটা যাচাই করতে তিন-চার বছর আগের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে হয়েছে।
দেখুন সুমন পেদনেকারের বক্তব্য
#WATCH | Bengaluru, Karnataka | On expelled JDS leader and former Lok Sabha MP Prajwal Revanna, sentenced him to life imprisonment, Special Investigation Team SP Suman Padnekar says, "Though it was a high-profile case, when the investigation started, there wasn't much pressure on… https://t.co/1Y4PpGhzEP pic.twitter.com/lBBC35zNWx
— ANI (@ANI) August 2, 2025
বিজ্ঞানিকভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে তথ্যপ্রমাণ
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রায় ৩০-৪০টি ভিডিয়ো, ৫০০ থেকে ২০০০ স্ক্রিনশট বৈজ্ঞানিকভাবে খতিয়ে দেখেছি। এইসবে বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে অভিযুক্তের ছবি ছিল। এদের মধ্যে ৫ জন সামনে এসে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করেছি। ইতিমধ্যেই একজনের করা মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা হয়েছে। বাকিগুলিরও তদন্তপ্রক্রিয়া চলছে।